মাদক মামলায় পিতা কারাগারে || মাকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা,শিশু রেহানের উপায় কি?
খুলনার খবর২৪|| দেড় বছরের শিশু রোহানের কান্না থামছে না। সব সময় শিশুটি কান্নাকাটি করছে। মাদক মামলায় পিতা রমজান আলী কারাগারে। আর মা রহিমা খাতুন রাফেজাকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। একান্ত আপন বলতে রোহানের আর কেও নেই। কখনও ফুফু, কখনও নানী আবার কখনও পুলিশ কর্মকর্তারা কোলে তুলে আদর করছেন রেহানকে। নানা-মামার কাছেও আদরের কমতি নেই। তারপরও শিশু রোহানের শান্তনা মিলছে না কোথাও।খুঁজে ফিরছে মায়ের কোল।কিন্তু কিভাবে বুুুুঝবে যে তার মা আর বেঁচে নেই।এখন কে তাকে শান্তনা দিবে ? কার আদরে রোহানের প্রাণটা জুড়াবে ? এমন হাজারো প্রশ্ন তার স্বজনদের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।রোহান ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার বদ্দিপুর কৃষ্ণপুর গ্রামের রমজান আলীর একমাত্র ছেলে।
নিহত রাফেজার ভাই সেলিম জানান, ৫ বছর আগে রহিমা খাতুন রাফেজাকে বিয়ে করেন একই গ্রামের রমজান আলী। তার ভগ্নিপতি রমজান আলী গ্রামের কতিপয় মানুষের সঙ্গে মিশে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে পুলিশ একটি মাদক মামলায় রমজানকে কারাগারে পাঠায়। রমজান আলী এখন কারাগারে। এদিকে স্বামী কারাগারে যাওয়ার পর শিশু সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই দিন কাটাচ্ছিলেন রাফেজা। গত ১৬ মে রাতে কে বা কারা বাড়িতে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে রাফেজাকে হত্যা করে। ঘটনার রাতে রাফেজা ছেলেকে নিয়ে স্বামীর ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। দুবৃত্তরা কেন তাকে হত্যা করেছে তা নিয়ে অন্ধকারে রয়েছে পুলিশ। তবে ধর্ষনে ব্যার্থ হয়ে বা চিনে ফেলার কারণে রাফেজাকে হত্যা করা হতে পারে এমন কথা গ্রামের মানুষ মনে করছে। এ ব্যাপারে রাফেজার পিতা নূর মোহাম্মদ বাদি হয়ে মহেশপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।এ ঘটনায় পুলিশ সামাউল ইসলাম নামের একজনকে গ্রেপ্তারও করেছে।
শিশুটির নানা নুর মোহাম্মদ জানান, রাফেজাকে হত্যার পর থেকেই রোহানের কান্না থামছে না। দিনে রাতে এভাবেই কান্নাকাটি করে। তার নানী, ফুফু, খালা, মামা এমনকি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা তার বাড়িতে এসে শিশুটিকে আদর করে যাচ্ছেন।কিন্তু রোহানের কান্না থামছে না।এদিকে শিশুটির সারাক্ষন কান্নাকাটিতে বাড়ির মানুষ এমনকি পাড়া প্রতিবেশিদেরও চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহেশপুর থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল আলম জানান, ঘটনার পরই তারা একজন আসামী গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন। সে নিজেকে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা জানিয়ে অন্যদের নাম প্রকাশ করেছেন। যা গ্রেপ্তারের স্বার্থে গোপন রাখতে হচ্ছে।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.