Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    রোগীর স্বজনদের মারপিটে চিকিৎসকের মৃত্যুর অভিযোগ || খুলনার খবর২৪


    খুলনার খবর২৪||খুলনা নগরীর গল্লামারী এলাকার রাইসা ক্লিনিকের মালিক চিকিৎসক মো. আব্দুর রকিব খান (৫৯) মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মারা গেছেন। পরিবারের অভিযোগ রোগীর স্বজনের মারধর করার কারনে তার মৃত্যু হয়েছে।

    গতকাল মঙ্গলবার (১৬জুন) সন্ধ্যায় খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।রকিব খান বাগেরহাট সরকারি মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের অধ্যক্ষ ও রাইসা ক্লিনিকের মালিক। তিনি পরিবার নিয়ে ক্লিনিকের ওপরের তলায় থাকতেন।

    পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ জুন সকালে গল্লামারীর মুহাম্মদ নগর এলাকার এক অন্তঃস্বত্তা নারীকে গল্লামারী রাইসা ক্লিনিকে ভর্তি করেন স্বজনেরা। ওই নারীর কিছু শারিরিক জটিলতা থাকায় ওইদিন বিকেলে তাঁর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানো হয়। মা ও নবজাতক দুজনই ভালো ছিলেন কিন্তু রাতে মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে।পরদিন ১৫ জুন সকালে ওই রোগীকে খুলনা মেডিকেলে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। রোগীকে স্বজনেরা খুলনা মেডিকেলে নিলে সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।সেখান থেকে দুপুরের দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়ার পথে ওই নারী মারা যান। এরপর রাত ৯টার দিকে ওই নারীর স্বজনেরা লাশ নিয়ে ক্লিনিকের সামনে এসে রকিব খানকে মারধর করেন। এসময় ভারী কিছু দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাতও করা হয়।এতে করে তিনি কয়েকবার বমি করেন। অবস্থা গুরুতর হতে থাকলে রাত ২টার দিকে তাঁকে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে দুপুরে খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে নেওয়া হয়। সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।


    গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক গাজী মিজানুর রহমান বলেন, সকালের দিকে সিটিস্ক্যান করে দেখা যায় রকিব খানের মাথায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। সেখান থেকে তাঁকে ঢাকায় পাঠানোর কথা বলা হয়।

    খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান পরিবার থেকে।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad