ঝিনাইদহে চেতনানাশক স্প্রে ছিটিয়ে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা || খুলনার খবর২৪
খুলনার খবর২৪|| ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লক্ষীকোল গ্রামের বারেক আলীর ছেলে জান্নাত আলী (৩০) এর নামে, চেতনানাশক স্প্রে ছিটিয়ে অজ্ঞান করে তারই বাসার ভাড়াটিয়ার নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনাই ওই নাবালিকার মা আনোয়ারা বেগম (৩৬) বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
এজাহারে বাদী আনোয়ারা বেগম পুলিশকে জানিয়েছেন, বিবাদী জান্নাত আলী আমার বাসার মালিক। অনুমান দেড় মাস যাবত বিবাদীর বাসাতে ভাড়াটিয়া হিসেবে তিনি ও তার তিন কন্যাসহ ভাড়া আছেন। পরের বাড়িতে কাজ করে আমি জীবিকা নির্বাহ করি। সেই সুবাদে কাজের কারণে আমিও আমার বড় কন্যা মোছা: সুরাইয়া খাতুনকে নিয়ে প্রতিদিন সকাল অনুমান ৮ ঘটিকায় বাড়ি হইতে বাহির হইয়া যাই। সেই সুযোগে বিবাদী আমার নাবালিকা কন্যা মোছাম্মদ সুমাইয়া খাতুন কে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে ও কুপ্রস্তাব দেয়। এমনকি আমার কন্যাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিবাদী তার অনৈতিক লালসা চরিতার্থ করার জন্য সে আমার কন্যার মুখে চেতনানাশক ওষুধ স্প্রে করে অজ্ঞান করে। গত ইংরেজি ২৪-৫-২০২০ তারিখ সকাল অনুমান ১০ ঘটিকার সময় তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।
কন্যার জ্ঞান ফিরলে বিবাদী কন্যাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে বলে, এই কথা যদি কাউকে বলিস তবে তোকে খুন করে ফেলবো। আমার নাবালিকা কন্যা ভয়ে বিষয়টি কাউকে কিছু না বলিলে বিবাদী জোরপূর্বক আমার কন্যাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় একাধিকবার ধর্ষণ করিতে থাকে। ইংরেজি ৩০-৫-২০২০ তারিখে বাড়িতে কেহ না থাকার সুযোগে বিবাদী আমার কন্যাকে অনৈতিক কাজের কথা বলিলে আমার কন্যা বিবাদীর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিবাদী ধারালো ছুরি গলায় ধরে হত্যার হুমকি প্রদর্শন করে কন্যাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ইহাতে আমার কন্যা একাধিক বার বমি করে ও মাথা ঘোরার কথা বললে আমি ঘটনার বিষয়ে কন্যার নিকট জানতে পারি বিপদের কারণে বর্তমান আমার কন্যা অন্তঃসত্ত্বা।এ ঘটনার বিষয়ে অনেকেই অবগত আছে।বর্তমানে বিবাদী আমার ও আমার কন্যাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে বলিতেছে এই নিয়ে যদি কোন বাড়াবাড়ি করিস তবে তোদেরকে জানে মেরে ফেলবো। বিবাদী অত্যন্ত খারাপ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। উক্ত বিষয় ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিবাদী আমার ও আমার কন্যাকে খুন-জখম সহ যেকোনো ধরনের ক্ষতি করতে পারে। এমতাবস্থায় আমাদের আইনি সহায়তা একান্ত প্রয়োজন।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) এমদাদুল হক বলেন, এ বিষয়ে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এটা দ্রুত তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.