আগামী সেপ্টেম্বর মাসে স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে-শিক্ষা মন্ত্রনালয় ||খুলনার খবর২৪
খুলনার খবর২৪||দেশে এখন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন কোটি ১০ লাখের বেশি। এর মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের (ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী) শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেড় কোটি আর বাকি এক কোটি ৬০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে প্রাথমিক ও প্রাক প্রাথমিক পর্যায়ে। এই বিশালসংখ্যক শিক্ষার্থীর জীবনে যাতে কোনো প্রকার বিরতি চলে না আসে সেই লক্ষ্যেই বছরান্তে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। একই সাথে করোনাকালে স্কুলপর্যায় থেকে কোনো শিক্ষার্থী যাতে ঝরে না পড়ে সেই জন্যও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
করোনার কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বিরতি পুষিয়ে নিতে ডিসেম্বরের মধ্যেই বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আর এমনটি হলে শিক্ষাবর্ষের স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই প্রথম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সব ক্লাসের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে। বিষয়টি মাথায় রেখে প্রত্যেক শ্রেণীর সিলেবাস কিভাবে সংক্ষিপ্ত করে শিক্ষার্থীদের চাপ কমানো যায় তা নিয়েও কাজ করছে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি।
মাউশি’র মহাপরিচালক জানান, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে যাতে কোনো প্রকার বিরতি চলে না আসে সেই জন্য আমরা স্কুল বন্ধের মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে সংসদ টিভিতে বিষয়ভিত্তিক ক্লাস চালু করেছি। এটা এখনো চলছে। যদিও নানা সীমাবদ্ধতার কারণে এসব ক্লাসের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তারপরেও বলব সরাসরি কিংবা অনলাইনে এসব ক্লাসের উপস্থিতি একেবারে কমও নয়। তিনি বলেন, স্বাভাবিক অবস্থাতেও ক্লাসের উপস্থিতি শতভাগ থাকে না। মাউশি’র এক জরিপের তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাভাবিক অবস্থাতেও শতকরা ১৪ ভাগ শিক্ষার্থী ক্লাসে অনুপস্থিত থাকে। ডিসেম্বর মাসে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠানের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেপ্টেম্বরে স্কুল খুললে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ সিলেবাস কমিয়ে ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.