Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে মহিলা ইউপি সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগ|| খুলনার খবর২৪


    খুলনার খবর২৪|| ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে এক মহিলা ইউপি সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে মোঃ সামাইল হক (৫০) নামে এক ইউপি সদস্যকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

    গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বলুহর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ইউপি সদস্য মোছাঃ মর্জিনা খাতুন বাদী হয়ে কোটচাঁদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।ওই দিন রাতেই আসামী সামাউল হককে আটক করা হয়। আটককৃত সামাউল হক উপজেলার বকশিপুর গ্রামের মোঃ ছানার উদ্দীনের ছেলে।

    মামলার এজাহারে জানা যায়, ফুলবাড়ী গ্রামের মৃত ফকির চাঁদ গাজীর মেয়ে ৪নং বলুহর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য মোছাঃ মর্জিনা খাতুন (৪৫) এর সাথে পার্শ্ববর্তী কুশনা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ সামাউল হকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।সেই সম্পর্কের এক পর্যায়ে গত ১৪-০২-২০১৮ তারিখ বিকালে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি কক্ষে মৌলভী কাজী মোঃ ছব্দুল সাক্ষী মোঃ ইয়ারুল ইসলাম ও মোঃ জামাল উদ্দীনের উপস্থিতিতে মৌখিকভাবে ৪ লক্ষ টাকা কাবিনে বিবাহ সম্পন্ন করেন। বিয়ের পর সামাউল হক মর্জিনাকে কোটচাঁদপুর সনি আবাসিক হোটেল ও চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার হরিন নগর গ্রামের এক পরিচিত’র বাড়িতে নিয়ে দৈহিক মেলামেশা করতে থাকে।এর পর বাদী মর্জিনা খাতুন তাকে স্ত্রী হিসাবে মেনে নিতে বললে তিনি নানা রকম বাহানা শুরু করতে থাকে।তিনি এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, আমি একজন ইউপি সদস্য হওয়ায় আসামী সামাউল হক বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নেয়।

    এবং আমার সরলতার সুযোগে মিথ্যা বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে দৈহিক মেলামেশা করতে থাকে। গত ১৪ মে সকালে কুশনা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সামাউলকে স্ত্রী হিসাবে গ্রহন করতে বলি। কিন্তু সে আমাকে স্ত্রী হিসাবে গ্রহন করবে না বলে জানায়। বিষয়টি নিয়ে উভয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের সাথে নিয়ে মিমাংস করার চেষ্টা করেও কোন ফল হয়নি।

    কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুল আলম ঘটনার সতত্য নিশ্চিত করে জানান, বিবাহের কোন কাগজ পত্র দেখাতে না পারলেও আটকের পর থানায় তাদের বিবাহের কথা স্বীকার করেছেন।বৃহস্পতিবার (১১জুন) ইউপি সদস্য মর্জিনা খাতুন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংসোধনী/০৩ এর ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২। পরে তাকে আটকের পর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad