মোংলা-বাজুয়া খেয়া পারাপার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা|| খুলনার খবর২৪
খুলনার খবর২৪||এস,এম কামরুজ্জামান টুকু|| মোংলার বাজুয়াতে অধিক হারে করোনায় আক্রান্তের কারনে মোংলা-বাজুয়া খেয়া পারাপার বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
বাজুয়া এলাকার খেয়াঘাট থেকে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন সহস্রাধিক মানুষ খেয়া পারাপার হয়ে থাকে।বাজুয়ায় অধিকহারে করোনা সংক্রমণের কারনে উপজেলা নির্বাহী কমর্কর্তা রাহাত মান্নান আজ বুধবার (২৪ জুন) সকাল থেকে খেয়া পারাপার বন্ধ ঘোষনা করে।ওদিকে লাউডোবের খেয়া পারাপারও আজ বুধবার বেলা ১২টার পর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, এসব খেয়াঘাটে মানুষের উপচে পড়া ভীড় থাকে সবসময়।এসব স্থানে নেই সচেতনতা বা সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই। যার ফলে এসব খেয়াঘাটগুলো থেকে জেলাজুড়ে করোনা সংক্রমণের প্রকোপ বৃদ্ধি পাবার আশংকা দেখা দিতে পারে।
সরেজমিনে যেয়ে দেখা গেছে, খেয়াঘাটে মানুষের সচেতনতাহীন ও ভিড়ভাট্টার সত্যতা পাওয়া যায়।খেয়া পারাপারে ব্যবহৃত ট্রলার (ইঞ্জিন চালিত নৌকা) গুলোর যাত্রীদের মাঝে লক্ষ্য করা যায়নি সামাজিক দূরত্বের কোন চিত্র। প্রতিটি খেয়াতেই গাদাগাদি করে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। যাত্রীদের বেশিরভাগই করোনা জীবাণু প্রতিরোধক কোনো সুরক্ষা সামগ্রী (হ্যান্ড গ্লভস, মাস্ক ইত্যাদি) ব্যবহার করে না৷এই ঘাটে প্রতিদিন চিকিৎসা ও গুরুত্বপূর্ণ কাজে অনেক লোকই মোংলা আসা যাওয়া করে৷ কিন্তু গ্রামীণ মানুষদের মধ্যে সচেতনতা ও সুরক্ষা সামগ্রীর অভাব থাকায় তারা সাবধানতা অবলম্বন করে চলাচল করতে পারছে না।খেয়াঘাট গুলোর সাধারণ মানুষদের মাঝে করোনার ব্যাপারে সচেতনতা কম। তাদের একজনও যদি করোনা জীবাণু বহন করে তবে তাঁর মাধ্যমে হাজারো মানুষ আক্রান্ত হতে পারে।তাই এই জায়গাগুলোতে জরুরী ভাবে প্রশাসনের নজরদারি দরকার।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.