খুলনায় চিকিৎসক আবদুর রকিব খান হত্যা মামলার প্রধান আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান
খুলনার খবর২৪||খুলনায় চিকিৎসক আবদুর রকিব খান হত্যা মামলার প্রধান আসামি জমির শেখ আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার (১৯জুন) দুপুরের দিকে তাঁদের আদালতের কাছে সোপর্দ করা হয়। গত বুধবার রাতে তাঁদের টঙ্গী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের সেখান থেকে খুলনায় নিয়ে আসা হয়। এর আগে বুধবার রাতে আরও দুই আসামি খুলনার রূপসা এলাকা থেকে খাদিজা বেগম ও মঙ্গলবার রাতে ডুমুরিয়া থেকে আবদুর রহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আবদুর রহিমকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। আর এজাহারবহির্ভূত অজ্ঞাতনামা আসামিদের মধ্যে গ্রেপ্তার খাদিজা বেগম আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বলেন, চিকিৎসক রকিব খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান আসামি জমির শেখ খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুস সামাদের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার খাদিজা বেগম নামের আরেক আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। গ্রেপ্তার অন্য তিন আসামিকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
উল্লেখ্য গত ১৪ জুন খুলনা নগরের গল্লামারী এলাকায় অবস্থিত রাইসা ক্লিনিকে শিউলি বেগম নামের এক নারীর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানো হয়। প্রথম দিকে সন্তান ও মায়ের শরীর ভালো থাকলেও রাতে শিউলি বেগমের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।পরদিন সকালে ওই ক্লিনিকের চিকিৎসক ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী শিউলি বেগমকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন স্বজনেরা। পথিমধ্যেই মারা যান শিউলি বেগম। এ ঘটনায় ১৫ জুন রাতে শিউলি বেগমের স্বজনেরা রাইসা ক্লিনিকের মালিক চিকিৎসক আবদুর রকিব খানকে মারধর করেন।এতে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রকিব খান।
ওই ঘটনায় রকিব খানের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম খান বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় শিউলি বেগমের ভাই, স্বামীসহ পরিবারের সদস্যদের আসামি করা হয়।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.