নড়াইলের কাইয়ুম হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার || খুলনার খবর২৪

খুলনার খবর২৪|| জাতীয় কাবাডি দলের সাবেক অধিনায়ক, ইউপি সদস্য এবং অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল কাইয়ুম হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে যশোর শহর থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬। গ্রেফতার মাহামুদুল হাসান কায়েস কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

নড়াইলের নড়াগাতি থানার কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মেম্বার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল কাইয়ুম সিকদার (৪৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামি ওই চেয়ারম্যান।গত শুক্রবার (৫জুন) সকালে কায়েসকে নড়াগাতি থানায় হস্তান্তর করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোর শহরের বেজপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৬।বিষয়টি নিশ্চিত করে যশোর র‌্যাব-৬ কোম্পানী কমান্ডার এম সারোয়ার হোসাইন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে গত ২৬ মে রাত নয়টার দিকে নড়াইলের নড়াগাতি থানার কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের তিন নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ও কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা কাইয়ুম সিকদারকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে প্রতিপক্ষরা। তার হাত, পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপানো হয়।আহতবস্থায় কাইয়ুমকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে তার মৃত্যু হয়।একই সময় নড়াগাতি থানা কৃষকলীগের সভাপতি কলাবাড়িয়া গ্রামের আবুল হাসনাত মোল্যা (৪০) এবং একই গ্রামের আপন দুই ভাই মতিয়ার মল্লিক (৪২) ও সজীব মল্লিককে (২৮) কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছিল ওই দুর্বৃত্তরা। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় গত ২৯ মে কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান কায়েসকে প্রধান আসামি করে ৪৫ জনের নামে মামলা করেন নিহত আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে নাইমুল ইসলাম মিল্টন।

নড়াগাতি থানার ওসি রোকসানা খাতুন জানান, মামলাটির ৪৫ আসামির মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান কায়েসকে গ্রেফতার করা হলো। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন।