ত্রান নিয়ে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি সহ্য করা হবে না-প্রধানমন্ত্রী||বন্ধ থাকবে নববর্ষের অনুষ্ঠান||
খুলনার খবর২৪||গতকাল মঙ্গলবার( ৩১মার্চ) সকালে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলমান কার্যক্রম সমন্বয় করতে ৬৪টি জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন সহযোগিতা যেন সবাই সমানভাবে পায় তা দেখতে হবে। এ জন্য তালিকা তৈরি করে ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করতে হবে। এই কাজে কোনো ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সকাল ১০টায় এ ভিডিও কনফারেন্স শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সেটা কেবল বাংলাদেশে নয়। সমগ্র পৃথিবী জুড়ে এই সমস্যাটা রয়েছে। এখানে ধনী-দরিদ্র, দুর্বল কিংবা শক্তিশালী দেশ, উন্নত বা অনুন্নত সবাই এই পরিস্থিতির শিকার। এমন পরিস্থিতি বোধ হয় আমরা জাতীয় জীবনে আর কখনো দেখিনি।
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সারাবিশ্ব স্থবির হয়ে গেছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে গেছে। বিরাট আকারে একটা বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে। সেই মন্দা মোকাবিলার চিন্তা এখন থেকেই আমাদের করতে হবে, পরিকল্পনা নিতে হবে।
সাধারণ ছুটি বাড়ানোর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের ছুটিটা একটু বাড়াতে হবে। আমরা ১০ থেকে ১২ দিনের ছুটি দিয়েছিলাম, এটা ১৪ দিন হতে পারে। সেটা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সীমিত আকারে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে।এমনকি নববর্ষের সব অনুষ্ঠানও বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, নববর্ষের অনুষ্ঠান আমরাই শুরু করেছিলাম। কিন্তু তাও আমাদের বন্ধ রাখতে হচ্ছে। মানুষের কল্যাণেই এ অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ সবার প্রতি।তবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ঘরেই পালন করতে পারবে।
করোনা মোকাবিলায় সরকারের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিলো জনগণকে সচেতন করা। সেটা আমরা করতে পারলেও তিন মাসে আমরা এই অবস্থা ধরে রাখতে পেরেছি। সবাই নিজেদের জায়গা থেকে যার যার দায়িত্ব পালন করেছেন বলেই এটা পেরেছি। আমরা বিমানবন্দর, নৌ-বন্দর চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেছি। থার্মাল স্ক্যানারসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি।সকলকে আবারও ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.