মেহেরপুরের গাংনীতে স্ত্রীকে হত্যা করেছে স্বামী|| ডাকাতি বলে চালিয়ে দেবার চেস্টা ||
খুলনারখবর২৪|| মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পূর্ব মালসাদহ গ্রামের চম্পা হত্যা নাটকের আসল রহস্য উদঘাটন হয়েছে। চম্পার স্বামী জুয়েল চম্পা কে হত্যা করার পর ডাকাতের ঘটনা সাজিয়ে ছিল।নিহতের স্বামী জুয়েল রানা তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে এই মর্মে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জুয়েল স্বীকারোক্তিতে বলেন, তার স্ত্রী চম্পা খাতুন ও তার শ্বশুর মিলে দুটি এনজিও থেকে প্রায় ২ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ করা ওই ঋণের কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। ওই দ্বন্দ্বের সূত্র ধরেই গত বুধবার দিবাগত রাতে চম্পা খাতুনকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে লাশ টেনেহিঁচড়ে বাইরে এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ মারে। বিষয়টি অন্য খাতে প্রবাহিত করার জন্য জুয়েল তার নিজের শরীরেও কয়েকটি আঘাত করে। পরে তার স্ত্রীর লাশ পার্শ্ববর্তী বাঁশ বাগানে নিয়ে ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে।পরে স্থানীয়রা এসে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে দেখে পুলিশে খবর দেয়। প্রাথমিক পর্যায়ে বিষয়টি ডাকাতির ঘটনা বলা হলে পুলিশের সন্দেহ হয়।
এ ঘটনায় চম্পার পিতা বাদী হয়ে স্বামী জুয়েলকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১১।তাং ১৫/৪/২০২০।সেই মামলার ভিত্তিতে গত শনিবার জুয়েল রানাকে পুলিশ আটক করার পর জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে স্বীকার করে যে তার স্ত্রীকে সে খুন করেছে।
পরে গতকাল (১৯ এপ্রিল) রবিবার মেহেরপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় তার স্ত্রীকে হত্যা করার ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.