রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আসামি যশোর হাসপাতালের গ্রীল ভেঙ্গে পালিয়েছে||
খুলনার খবর২৪|| যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি থাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আসামি সুজন মল্লিক (২৫) জানালার গ্রীল ভেঙ্গে পালিয়েছে।
গতকাল রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ তাকে আটকের জন্য অভিযান শুরু করেছে। পালিয়ে যাওয়া আসামি সুজন মল্লিক (২৫) ওরফে শাকিল যশোর শহরের বারান্দীপাড়ায় ভাড়া থাকতেন। তার বাড়ি রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের গাজীপাড়ায়।
হাসপাতাল ও পুলিশ জানা গেছে, পুলিশ গত ১০ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আদালত থেকে সুজন মল্লিককে কারাগারে নিয়ে যায়। এসময় তার শরিরে জ্বর, সর্দি, কাশি দেখা দেয়ায় কারাগারের সহকারী সার্জন যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার তাকে ভর্তি করে আইসোলেশনে পাঠায়। যার মামলা নম্বর ২০, জিআর নম্বর ৩১২/২০। তার হাজতী নম্বর ২২৪৯/২০।হাসপাতালের আইসোলেশনের দায়িত্বে থাকা নার্স তুলি জানান, রাত ৯টার দিকে আসামি সুজনকে পানি দেয় হয়। এরপর রাত পৌনে ১০টার দিকে খাবার দিতে গেলে তার ঘরের দরজা ভিতর লক করা দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের খবর দেই। এসময় তারা ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করে না পেরে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে তাকে খুঁজে পায়না। এসময় পিছনের জানালার গ্রীল ভাঙ্গা দেখতে পায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতাল ও পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়।
হাসপাতালের আইসোলেশনে গতকাল রোববার রাত ৮টা থেকে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন ল্যান্সনায়েক নাজমুল (না: ১৬৮৬) এবং কনস্টেবল আসাদ (কন: ২৩০৯)। তাদের সিসি নম্বর ৫১৯৮২০।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) তৌহিদুর রহমান আসামি পালিয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করে বলেছেন, তাকে আটকের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।খুব দ্রুত তাকে আটক করা সম্ভব হবে।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.