মাগুরার শ্রীপুরে প্রেমিকার বাড়ির উঠানে যুবকের লাশ||খুলনার খবর২৪
 |
| ছবি সংগৃহীত |
নিহতের পরিবারিক সূত্রে জানা যায়,মাগুরার মহেশপুর গ্রামের কাজী গোলাম মোস্তফার ছেলে মোশারফ হোসেন প্রবাসে থাকায় তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানার (২৮) সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন নিহত পিকুল বিশ্বাস। ওই প্রবাসী দেশে ফিরে এলেও তার স্ত্রী পরকীয়া চালিয়ে যেতে থাকেন। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশি বৈঠক করেও ফল হয়নি। পরে তাদের বিচ্ছেদের পর্যায়ে পৌঁছায়। একপর্যায়ে স্বামী পিকুলকে তার সামনে হাজির করার জন্য স্ত্রীকে শর্ত দেয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ৩ মার্চ রাতে স্বামী বাড়িতে নেই বলে সুকৌশলে রাজিয়া প্রেমিক পিকুলকে তার বাড়িতে আসতে বলে। বাড়িতে আসার পর প্রেমিকা রাজিয়া স্বামীর কথা মতো পিকুলকে দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পিকুল ঘুমিয়ে পড়লে রাজিয়া তার স্বামীকে ডেকে এনে খাটের ওপর ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উঠানের টিউবওয়েলের পাশে খোঁড়া ১২ ফুট গভীর গর্তে বিছানাপত্র ও তার ব্যবহৃত মোবাইল সেটসহ পিকুলের মরদেহ মাটি চাপা দেয়।
জানা যায়,গত ২ মার্চ পিকুল তার এক আত্মীয়কে বিমানে তুলে দিতে ঢাকায় যায়। ৩ মার্চ দুপুর পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে মোবাইলে তার যোগাযোগ হয়। এরপর থেকে পরিবার তার কোনো খোঁজ না পেয়ে পিকুলের ভায়রা মামুনুর রশীদ গত ৭ মার্চ গাজীপুরের কাশিমপুর থানায় জিডি করেন।সেই জিডির সূত্র ধরে পুলিশ রাজিয়া ও তার স্বামী মোশারফকে আটক করে। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা পিকুলকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক মাগুরা পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজোয়ান শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াছিন কবীরের উপস্থিতিতে গত শুক্রবার রাত ১টার দিকে ১২ ফুট মাটির নিচ থেকে পিকুলের মরদেহ উত্তোলন করেন। রাতেই ময়না তদন্তের জন্য লাশটি মাগুরা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
মাগুরা পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজোয়ান জানান, এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
About খুলনার খবর
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.