খুলনায় মানছেনা সামাজিক দুরত্ব||ওলি-গলির দোকানে ভিড় বাড়ছে সকাল সন্ধ্যা||
খুলনার খবর২৪||শরিফুল ইসলাম||দেশে করোনা-সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি নির্দেশনার গুরুত্ব কমছে ধীরে ধীরে। সরকার ঘোষিত হোম কোরেন্টিন মানছে না কেউ।নানা অজুহাতে তার ঘরের বাইরে যাচ্ছে এবং পাড়া,মহল্লার চায়ের দোকানগুলোতে ভীড় জমাচ্ছে।সরকার ঘোষিত মানুষে-মানুষে ‘সামাজিক দূরত্ব’ (তিন ফুট দূরত্ব) কেউই মানছে না এখন।
আগের মতই মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছে। মুলত প্রধান সড়কগুলোতে সেনাবাহিনী, পুলিশ প্রশাসনের প্রহরা থাকায় পাড়া মহল্লায় চায়ের দোকানে ভিড় বাড়ছে সকাল সন্ধ্যায়। হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মানছে না মানুষ। গতকাল খুলনার বিভিন্ন এলাকা, পাড়া,মহল্ল ঘুরে দেখা গেছে এসব চিত্র।নগরীর প্রধানসড়কগুলো ও সড়ক সংলগ্ন বাজারগুলোতে মানুষের উপস্থিতি না থাকলেও ছোট ছোট অলিগলিতে ভিড় চোখে পড়ার মত। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানগুলোতে মানুষের জমজমাট আড্ডা তৈরি হয়েছে।
গতকাল সকালে ও দুপুরে নগরীর সোনাডাঙ্গায় অবস্থিত বৌ বাজার,ওমর বাজার, গল্লামারি বাজার, বড় বাজারসহ অধিকাংশ বাজারে উপচে পড়া ভিড়। মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচা বাজার নিতে এসেছে এসব জায়গায়। গায়ে গা ঘেঁষে কেনাকাটা করছেন তারা। তাদের মাঝখানে ১০ ইঞ্চি জায়গাও ফাঁকা নেই। অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করেছেন না। হাতে গ্লাভসও নেই। দোকানি ও ক্রেতার মাঝখানেও তেমন দূরত্ব রক্ষা করা হয়নি। এছাড়া, ক্রেতা-বিক্রেতাকে যেখানে-সেখানে কফ-থুথু ফেলতেও দেখা গেছে।কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে জানেন। কিন্তু কেনাকাটা করতে এসে পরিস্থিতির কারণে ঠিকমতো সেই দূরত্ব রক্ষা করতে পারেন না বলে দাবি করেছেন তারা। আর বিক্রেতারা বলছেন, ক্রেতাদের দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলেও তারা কেউ শোনেন না।
মাস্ক ও গ্লাভস পরা প্রসঙ্গে বিক্রেতারা বলছেন, এগুলো পরলে কাজে অসুবিধা হয়। তাই কম ব্যবহার করেন তারা। তাছাড়া করোনায় তো আর কোন সংক্রমিত হচ্ছে না তাই ভয়ের কিছু নেই।
নগরীর সোনাডাঙ্গার ২২তলা ডেল্টা লাইফ টাওয়ারের পাশের গলিতে যেনো সব সময়ই একটা ভীড় চোখে পড়ে।এই এলাকায় কিছু কারখানা থাকায় এখানকার শ্রমিকরা চা খেতে বাইরে আসেন এবং আড্ডায় মজে যান। গত দু’দিন থেকে পুলিশ আসছে না তাই আবার এসব কারখানা খুলে রেখেছে মালিক পক্ষ।শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়,তাদেরকে দিয়ে জোর করে কাজ করানো হচ্ছে।তারা হোম কোরেন্টাইন মানতে চায়,কিন্তু কাজের চাপে মালিকের ভয়ে পারছে না। করোনায় সংক্রমিত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কপালে থাকলে ভাইরাসে মরব, না থাকলে কেউ ভাইরাস দিয়ে কাবু করতে পারবে না।
করোনা একজন মানুষ থেকে অন্য মানুষে সর্বনিম্ন ৩ ফুট ও সর্বোচ্চ ৬ ফুট পর্যন্ত দূরত্বে ছড়াতে পারে। তাই মানুষে-মানুষে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি।’ তদারকির বিষয়ে খুলনা সদর থানার ওসি আসলাম বাহার বুলবুল বলেন, পুলিশ সব এলাকার দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলছে। তবুও চায়ের দোকানদাররা তাদের চোখ এড়িয়ে দোকান খোলা রেখে যাচ্ছে।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.