মায়ের সাথে পরকীয়া প্রেম ও দৈহিক সম্পর্কের জেরেই হত্যা করা হয় বিপুলকে|| খুলনার খবর২৪
খুলনার খবর২৪|| পরকীয়া প্রেম ও দৈহিক সম্পর্কের জেরে যশোরের চৌগাছায় বিপুল হোসেনকে (৩৫) হত্যা করা হয়। নিহত বিপুল চৌগাছা উপজেলার হিজলি গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে। এঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও হাতুড়ি।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান,গত শনিবার দুপুরে ডিবি তত্ত্ববধানে চৌগাছা থানা পুলিশের সহায়তায় মনিরামপুর উপজেলার গোপালপুর এলাকায় অভিযান বিপুল হোসেন হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী সবুজ হোসেন ও তার মা ফুলবানু বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সবুজের সহযোগী মোহাম্মদ তুহিনকে হিজলী বাজার থেকে ওইদিন বিকেলেই গ্রেফতার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে চৌগাছা পুড়াপাড়া জনৈক ইদ্রিস আলীর পাটক্ষেতের ভিতর থেকে দুটি সিমকার্ড সহ ভিকটিমের একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে ঘটনার পলাতক আসামি চৌগাছা থানার দক্ষিণ কয়ারপাড়ার গ্রামের রফিকুলের বসতবাড়ীতে অভিযান চালানো হয়।এবং সেখান থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে চৌগাছা বাজারের যে দোকান থেকে চটের বস্তা কিনেছিল, সেটির নমুনা চট জব্দ করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এস আই শামিম হোসেন জানান, আটককৃতদের রোববার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহম্মদ মাহাদী হাসানের আদলতে হাজির করলে তারা ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে হত্যার বর্ননা দেয়।
আসামিরা আদালতকে জানায়, আসামি ফুলবানুর স্বামী আবু শামা দীর্ঘদিন যাবৎ মালেশিয়ায় থাকে।এরই ধারাবাহিকতায় নিহত বিপুলের সঙ্গে ফুলবানুর বিগত তিন বছর ধরে পরকীয়া প্রেম ও দৈহিক সম্পর্ক চলছিল। তাদের এই অনৈতিক সম্পর্ক আসামি ফুলবানুর ছেলে সবুজ দেখে ফেলে। এরপর বিপুলকে সতর্ক করলেও সে শোনেনি। ফলে সবুজ তার ভগ্নিপতি রফিকুলের সাথে পরিকল্পনা করে বিপুলকে হত্যা করে। ঘটনার দিন (৪জুন) সবুজের ভগ্নিপতি দক্ষিণ কয়ারপাড়া গ্রামের লালনের ছেলে রফিকুল গরু কেনার কথা বলে বিপুলকে ডেকে নিয়ে তার বসত ঘরে নিয়ে শ্বাসরোধ ও মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। এসময় গোপনাঙ্গ চেপে ধরে হত্যা করে বস্তার মধ্যে ঢুকায়। পরে গভীর রাতে বেড়গোবিন্দপুর বাওড় এলাকার ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়।
পরদিন গত (৫ জুন) নিহত বিপুল হোসেনের (৩৫) লাশ উদ্ধার করে চৌগাছা থানা পুলিশ। এবং ওই দিনই নিহতের ছেলে রকি আহমেদ চৌগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.