অস্বাভাবিক বিদ্যুত বিলের প্রতিবাদে ডুমুরিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও || খুলনার খবর২৪
খুলনার খবর২৪||বিগত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক ভাবে খুলনা পল্লী বিদ্যুত সমিতির ডুমুরিয়া জোনাল অফিসের আওতাভূক্ত গ্রাহকগনের অস্বাভাবিক বিদ্যুত বিল ইস্যু করা হচ্ছে।গ্রাহকদের সাথে সমিতির কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসৌজন্য মুলক আচারণসহ বিভিন্ন অভিযোগে গতকাল রোববার দুপুরে সাধারণ গ্রাহকরা ডুমুরিয়া জোনাল অফিস ঘেরাও করে প্রতিবাদ করে।
এসময় খবর পেয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ পল্লী বিদ্যুত সমিতি অফিসে হাজির হয়ে প্রতিবাদ কারীদের সাথে নিয়ে সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম)এর কাছে অভিযোগ কারীদের অভিযোগ বিষয়ে ব্যাখা দাবী করেন। জোনাল অফিসের ডিজিএম মো.আব্দুল মতিন জানান, গত মে মাসে ইস্যুকৃত বিদ্যুত বিল বিগত অন্যান্য মাসের তুলনায় বেশি হওয়ার কারন করোনা ভাইরাস সংক্রমন জনিত কারণে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মার্চ ও এপ্রিল মাসে সমিতির মিটার রিডারদের গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে রিডিং এনে বিল ইস্যু করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী মাসের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে গড় রিডিং এর ভিত্তিতে বিদ্যুত বিল ইস্যু করা হয়েছিলো।
তার উপর গরম পড়ায় এবং লকডাউনে মানুষ ঘরে আবদ্ধ হয়ে থাকায় বিদ্যুত ব্যবহারও অনেক বেড়েছে। মে মাসে মিটার রিডার পাঠিয়ে মিটারের প্রকৃত রিডিং এনে বিল করায় মার্চ-এপ্রিল মাসের সঞ্চিত ইউনিট মে মাসে ব্যবহৃত বিদ্যুত বিলের সাথে যুক্ত হওয়ায় অস্বাভাবিক বিল হয়েছে বলে গ্রাহকগন ধারণা করছেন।
এক পর্যায়ে সমিতির ডিজিএম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ উপস্হিত গ্রাহকগনসহ অন্যান গ্রাহকদের আশ্বস্ত করে জানান যে, আবাসিক গ্রাহকগণ ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল ও মে মাস এবং বাণিজ্যিকসহ অন্যান গ্রাহকগণ মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের বিদ্যুৎ বিল ৩০ জুন তারিখের মধ্যে কোন বিলম্ব মাসুল ছাড়াই পরিশোধ করার সুযোগ পাবেন।এবং ইতোমধ্যে যারা বিলম্ব মাসুল সহ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছেন, তাদের দুঃশ্চিতার কারণ নেই, কেননা পরবর্তীতে বিদ্যুৎ বিলের সাথে উক্ত টাকা সমন্বয় হয়ে যাবে।তিনি সকলকে ধর্য্য সহকারে পরিস্হিতি নিরসনে সহযোগীতার অনুরোধ জানান।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.