খুলনার খবর// খুলনায় বিস্ফোরক মামলায় হেফাজতে ইসলাম নেতা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ অক্টোবর চার্জ গঠনের দিন ধার্য করেছে আদালত।
আজ রোববার (০৫ সেপ্টম্বর) বেলা পৌনে ১১ টায় খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারক এসএম আশিকুর রহমান চার্জ গঠনের দিন ধার্য করেন। খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি এড. কেএম ইকবাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ২০১৩ সালে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলায় আজ রোববার হেফাজত ইসলামের নেতা মামুনুল হককে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়েছে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা জেলা কারাগারের সুপার মো. ওমর ফারুক।
আদালতে দাখিল করা মামলার চার্জশিট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল, গ্রেপ্তার করা যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি ও সরকার বিরোধী শ্লোগান দিয়ে জামায়েতে ইসলামী, বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামীসহ ১২ দলের প্রায় ৩ হাজার মানুষ মিছিল বের করে। মিছিলটি নগরীর ডাকবাংলা ও ময়লাপোতা মোড় হয়ে শিববাড়ি মোড়ে গণজাগরণ মঞ্চের দিকে যাচ্ছিল।পথিমধ্যে ফুজি কালারের সামনে পৌঁছালে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা মিছিলের মধ্য থেকে পুলিশের ওপর ককটেল বোমা ও গুলি নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। নিক্ষিপ্ত বোমার আঘাতে কিছু পুলিশ আহত হয়। সে সময় তাদের চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে সেখান থেকে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়। এ ব্যাপারে সোনাডাঙ্গা থানায় খুলনা মহানগর ইমাম পরিষদের কয়েকজন নেতা ও হেফাজত ইসলামীর নেতা মাওলানা মামুনুল হকসহ ২৬ জনের নামে ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে সোনাডাঙ্গা থানার এসআই আলমগীর কবীর বাদী মামলা দায়ের করেন, যার নম্বর ২৩।
চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওই ঘটনার আগের দিন ময়লাপোতা মসজিদ মোড়ে ওয়াজ করার সময় হাফেজ মামুনুল হকসহ অন্যান্যরা সংগঠিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও গণজাগরণ মঞ্চ ভাঙচুরসহ পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুসারিদের নির্দেশ দেন।
২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মোক্তার হোসেন মোট ১০৭ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.