যশোরে চাঁদাবাজির অভিযোগে গণপিটুনির শিকার এক যুবকের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু
মোঃ জসিম উদ্দিন তুহিন,যশোর জেলা প্রতিনিধি// নিহত ওই যুবকের নাম রবিউল ইসলাম (৩৬) তিনি যশোর শহরের পালবাড়ি পাওয়ার হাউস এলাকার মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে। গণপিটুনির পর সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। রবিউলের বিরুদ্ধে হত্যা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ থানায় মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা এলাকার আব্দুল মালেক নামে এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার যশোর থেকে ইজিবাইক কিনে পিকআপে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিকেলে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের চুড়ামনকাটি বাজার এলাকায় ওই পিকআপ আটকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন রবিউল। এ সময় বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। পরে গণপিটুনির শিকার রবিউলকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ রবিউলকে নিয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। এরপর তাকে থানা হাজতে রাখা হয়। সন্ধ্যার দিকে রবিউল থানা হাজতে অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ তাকে আবারও যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সালাউদ্দিন স্বপন জানান, গণপিটুনির শিকার রবিউলকে বিকেলে জরুরি বিভাগে আনা হয়। কিন্তু তার শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন না থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পুলিশ তাকে নিয়ে চলে যায়। সন্ধ্যার পর তাকে ফের হাসপাতালে আনা হলেও তার আগেই রবিউলের মৃত্যু হয়।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, ইজিবাইকে চাঁদাবাজিকালে রবিউলকে পিটুনি দেয় জনতা। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে থানায় আনা হয়। পরে ফের অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রবিউলের বিরুদ্ধে হত্যা ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.