খুলনা সিটির নাগরিক দুর্ভোগ,সড়কের অর্ধেক জায়গা ইজিবাইকের দখলে
শাহরিয়ার পিয়াস,খুলনা// লাইসেন্স আছে ৮ হাজারের, চলে ১৬ হাজারের বেশি।দিনের বেশির ভাগ সময় শহরের ৩০ পয়েন্টে অসহনীয় যানজট লেগেই থাকে।
নাগরিক জীবন সহজ করার জন্য খুলনা মহানগরীতে ইজিবাইক চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন তা দুর্ভোগের অন্যতম কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। বর্তমানে বৈধ ইজিবাইকের তুলনায় অবৈধই বেশি। এগুলোর অনিয়ন্ত্রিত ও বেপরোয়া গতি চলাচলে প্রতিদিনই শহরে যানজট লেগেই থাকে। এ ছাড়া অদক্ষ চালকের কারণে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর থেকে নগরীতে ইজিবাইকের লাইসেন্স দেওয়া শুরু হয়। এ পর্যন্ত প্রায় আট হাজার ইজিবাইকের লাইসেন্স দিয়েছে কেসিসি। শহরে চলাচলকারী এসব গাড়ির রঙও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। লাইসেন্স দেওয়া গাড়িগুলো সবুজ রঙের। তবে বাস্তবের অবস্থা ভিন্ন। প্রতিদিন শহরে লাইসেন্সের প্রায় দ্বিগুণের বেশি অর্থাৎ ১৬ হাজারের বেশি ইজিবাইক চলাচল করে। এতে প্রতিনিয়ত যানজটে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন নগরবাসী।
নগরীর বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, দিনের বেশির ভাগ সময় অন্তত ৩০টি পয়েন্টে ইজিবাইকের জট লেগে থাকে। নগরীর ব্যস্ততম ডাকবাংলা ও পিকচার প্যালেস মোড় বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ায় এখানে মানুষের চলাচল অনেক বেশি। এ দুটি মোড়েই ইজিবাইকে যাত্রী ওঠা-নামা করানো হয়। এর ফলে দিনভর এ দুটি স্থানে যানজট লেগেই থাকে।
নগরীর সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড মোড়ে প্রায় সারাদিনই যানযট লেগে থাকে। এবং প্রায় প্রতিদিন কোন না কোন দুর্ঘটনা ঘটে।
নগরীর দৌলতপুর বেবিস্ট্যান্ডের সামনে সকাল থেকেই শতশত ইজিবাইক দাঁড়িয়ে থাকে। ৪০ ফিট সড়কের ২০ ফিটই থাকে এদের দখলে। বাকি সড়কে থাকে বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকারসহ অন্য যানবাহন।
প্রায় একই রকম অবস্থা দেখা গেছে নগরীর স্যার ইকবাল রোড, শান্তিধাম মোড়, রয়েলের মোড়, সাত রাস্তার মোড়, ময়লা পোতার মোড়, শিববাড়ি মোড়, গল্লামারী, পিটিআই মোড়, আহসান আহমেদ রোড, কমার্স কলেজ মোড়, সাউথ সেন্ট্রাল রোড, সিমেট্রি রোড ও টুটপাড়া কবরখানা মোড়েও।
খুলনা সিটি করপোরেশনের লাইসেন্স অফিসার ফারুক হোসেন তালুকদার জানান, নগরীতে সুষ্ঠুভাবে চলাচলের জন্য ১০ হাজার ইজিবাইকের লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। প্রথম ধাপে সাত হাজার ৮৯৩টি ইজিবাইকের লাইসেন্স দেওয়া হয়। নতুন করে আপাতত কোনো লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে না।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ জানান, নগরীকে যানজটমুক্ত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিভিন্ন সময় অবৈধ ইজিবাইক আটকও করা হয়। শিগগিরই কেসিসির সঙ্গে সমন্বয় করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.