যশোর চৌগাছার শিশু সাকিব হোসেন হত্যা রহস্য উদঘাটন || মামলায় আটক কিশোরের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
ফাইল ছবি |
গতকাল রোববার আদালতে জবানবন্দিতে কিশোর ইন্তা জানিয়েছে, নিহত সাকিব স্বরুপপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার বাদশা মিয়ার বোন ফাতেমা বেগমের নাতি ছেলে।আর কিশোর ইন্তার বাড়ি একই গ্রামের হাজিপাড়ায়। গত ৯ মে বাদশা মিয়ার নাতি ছেলে নয়ন তাকে একজনকে খুন করার সময় সাথে থাকার প্রস্তাব দেয়। এ জন্য ইন্তাকে সে টাকা দিতে চেয়েছিল। ১০ মে বিকেলে বাদশা মিয়ার নাতি ছেলে নয়ন সাকিবকে সাথে নিয়ে বাড়ির পাশের ক্যানেলের পাড়ে নিয়ে যায়। এরপর তাকে পাহারায় রেখে সাকিবকে ক্যানেলের ওপারে নিয়ে যায়। কিছু সময় পর একটি শব্দ হয়। এরপর ক্যানেল পার হয়ে ইন্তা যেয়ে দেখে নানা বাদশা ও নাতি নয়ন দাঁড়িয়ে আছে আর সাকিবের লাশ মাটিতে পড়ে আছে। এরপর ইন্তা চলে আসার সময় ঘটনা কাউকে বলতে নিষেধ করেছিল নাতি ছেলে নয়ন। পরে নাতি তাকে আর টাকা দেয়নি বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছে ইন্তা।
উল্লেখ্য,নিহত সাকিব তার নানি বাড়ি থাকতো। প্রায় সাকিবকে নিয়ে নানির ভাই বাদশা মিয়ার সাথে গোলযোগ হত।এরই জের ধরে গত ১০ মে সাকিবকে বাড়িতে রেখে তার নানি ফাতেমা বেগম মাঠে ঘাস কাটতে যায়। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে সাকিবকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। পরদিন সকালে বাড়ির পাশের ক্যানেলের মধ্যে থেকে সাকিব হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সাকিবের একটি চোখ উঠানো ছিল। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়। এ ব্যাপারে নিহতের নানি ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত আরো কয়েকজনকে আসামি করে চৌগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান চৌগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এনামুল হক। মামলার তদন্তকালে হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে ইমদাদুল হক ইন্তাকে আটক করেন। রোববার ইন্তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতে ওই জবানবন্দি দিয়েছে।জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান কিশোরের এ জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.