খুলনায় ২৪ ঘন্টায় ১৪২টি টেস্টে আরও ৩জন করোনা পজিটিভ ||ভুল ঠিকানা দেওয়া করোনা রোগী রিক্সাচালকের খোঁজ মিললো||
খুলনার খবর২৪|| খুলনা মেডিকেল কলেজে (খুমেক) পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘন্টায় ১৪২টি টেস্টের মধ্যে ৩ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।এর মধ্যে খুলনা রূপসা উপজেলার কালিবাড়ি এলাকার বিষ্ণু দাস (৫০) পরিচয়দানকারি ব্যক্তি আসলে রূপসার নয়, নগরীর দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা কালিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন রিক্সাচালক।তার নাম বিষ্ণুপদ হাজরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে তাকে অভিনব কায়দায় আবিষ্কার করে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।গত বুধবার করোনা সনাক্তের পর থেকে বিষ্ণুপদ দাসের হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। তার মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। খুলনা সিভিল সার্জন বিষয়টি নিশ্চিত করার পর তৎপর হয় পুলিশ ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহঃপতিবার সকালে হাসপাতাল থেকে তার মোবাইলে ফোন করে তাকে ওষুধ দেয়ার কথা বলে ডেকে এনে ভর্তি করা হয় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে। আবার জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পুলিশের সহায়তায় গতকাল দুপুর ১২টা থেকে মহেশ্বরপাশা তার বাড়িসহ আশপাশের ২০টি বাড়ি অবরুদ্ধ(লকডাউন) ঘোষণা করেন।
এদিকে, খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে গতকাল ১৪২টি নমুনা পরীক্ষা করার পর নতুন করে তিনজন রোগী সনাক্ত হয়। যার একজন খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার দেয়াড়া তেঁতুলতলা মসজিদ সংলগ্ন বাসিন্দা গৃহবধূ জরিনা বেগম(৬০), একজন সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার সঞ্জয় শেখর(৩৫),এবং অপরজন মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার দেওয়ান সোহেল বিশ্বাস। এর মধ্যে রূপসার জরিনা বেগম(৬০) নামের ওই রোগীকে গতরাতেই করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কেএমপির দৌলতপুর থানার অফিসার কাজী মোস্তাক আহমেদ বলেন, গত বুধবার রূপসা উপজেলার কালিবাড়ি এলাকার বিষ্ণুপদ নামের একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে প্রচার করে খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ। এরপর থেকে ওই ব্যক্তিকে খুঁজে পায়নি প্রশাসন। এমনকি তার দেয়া মোবাইল নম্বরটিও ওইদিন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তার মোবাইলে ফোন দিয়ে তার বাড়ি দৌলতপুর থানার মহেশ্বপাশা কালিবাড়ি এলাকার এটি নিশ্চিত হন কেএমপির নগর বিশেষ শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার রাশিদা বেগম। এরপর দৌলতপুর থানার ওসি ওই নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশসহ চলে যান সেখানে। কিন্তু এর আগেই ওষুধ দেয়ার কথা বলে মোবাইলে বিষ্ণুপদকে হাসপাতালে ডেকে নেন খুমেক হাসপাতালের করোনা সাসপেকটেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে। সেখানে যাওয়ার পর তাকে পাঠানো হয় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে।
এ নিয়ে করোনা হাসপাতালে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো চারজনে। এরা হলেন পুলিশ সদস্য আলী আজম, নার্সিং সুপারভাইজার শীলা রাণী দাস, রিক্সাচালক বিষ্ণুপদ হাজরা এবং রূপসার দেয়াড়া এলাকার বাসিন্দা জরিনা বেগম।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.