করোনার ভয়ে সৎকার করলো না মৃতের স্বজনেরা ||ইএনও নিজে চিতায় ওঠালো লাশ

খুলনার খবর২৪||জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত শনিবার গভীর রাতে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী (৫০) মারা যান। করোনা ভাইরাসের উপসর্গ থাকায় লাশ সৎকারে স্বজনেরা কেউ এগিয়ে আসেননি।এগিয়ে এলেন কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.নাজমুল হুদা। নিজেই ঘর থেকে লাশ বের করে চিতায় উঠিয়ে সৎকারের ব্যবস্থাও করেন।

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানা যায়, বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি করতেন।গতবৃহস্পতিবার (৭ মে) অসুস্থ অবস্থায় তিনি বাড়ি আসেন।  পরিবারের লোকজন তাঁকে আলাদা একটি ঘরে থাকার ব্যবস্থা করেন।এ অবস্থায় গত শনিবার (৯ মে) রাতে তিনি মারা যান। ঘরের মধ্যে তাঁর মৃতদেহ রেখে পালিয়ে যান তার স্ত্রী ও সন্তানেরা।

এই খবর নড়াইলের কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.নাজমুল হুদার কাছে পৌছলে তিনি এসে  প্রতিবেশীসহ স্বজনদের কাছে না পেয়ে গত রোববার (১০মে) সকালে ঘর থেকে লাশ বের করে দুপুরে চোরখালি শ্মশানে সৎকারের ব্যবস্থা করেন।

ইউএনও জানান, আমার সঙ্গে সৎকারে উপস্থিত ছিলেন কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কাজল মল্লিক,সাংবাদিক মো.ফসিয়ার রহমান, কালিয়ার মন্টু বৈরাগী ও বাবাকে মুখাগ্নি করার জন্য মৃতের ছেলেও উপস্থিত ছিলেন।