বাগেরহাটে ঘুর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ ভেড়িবাঁধ ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
খুলনার খবর২৪|| ঘুর্ণিঝড় ‘আমফান’ আঘাতে গত আট দিন পরেও উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের শরণখোলা, মোংলা ও রামপাল উপজেলার কমপক্ষে ৮ টি গ্রামের দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দি মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।এ অবস্থায় গতকাল বুধবার (২৭মে) সন্ধ্যার দিকে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল(অব.) জাহিদ ফারুক শামীম বাগেরহাটের শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বিধ্বস্ত ভেড়িবাঁধ ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
শরণখোলা-মোড়েলগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. আমিরুল আলম মিলন-এর অনুরোধে নৌ-পথে তিনি এদিন সরেজমিনে ‘আমফানে’ ক্ষতিগ্রস্ত এই এলাকা পরিদর্শনে আসেন। এসময় জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদুজ্জামান খাঁন, মোরেলগঞ্জ পৌরসভা মেয়র মনিরুল হক তালুকদার, শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন, মোড়েগলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: কামরুজ্জামান-সহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিদিন দু’বার করে জোয়ারের পানিতে তাদের ঘরবাড়ি, ফসলের ক্ষেত তলিয়ে যাচ্ছে। আবার কোন কোন গ্রাম সবসময়ই জলমগ্ন থাকছে। ভাটায়ও পানি নামছে না। পনির নিচে তলিয়ে থাকায় এখানে অধিকাংশ পরিবার। জলাবদ্ধতায় বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চলে মানুষের ভোগান্তি আরও বেড়েছে।নদী শাসন করে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণে অতিদ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে প্রতিমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.