নড়াইলে করোনা রোগী থাকা সত্বেও নড়াইলকে করোনামুক্ত ঘোষনা করায় সিভিল সার্জনের অপসারন দাবি||খুলনার খবর২৪
খুলনার খবর২৪|| নড়াইলে করোনা রোগী থাকা সত্বেও নড়াইলকে করোনামুক্ত ঘোষনা করায় বিভিন্ন মহল থেকে সিভিল সার্জনের অপসারন দাবি জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার খাশিয়াল গ্রামের মসজিদের এক মুয়াজ্জিনের (৬০) করোনাভাইরাস সনাক্ত করা হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার (১৪ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে কালিয়া ইউএনও বলেন, করোনাক্রান্ত মুয়াজ্জিনকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া তার পরিবারের সদস্যদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এর আগে গত ৯ মে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরন করেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বড়দিয়া এলাকার বিশ্বজিত রায় চৌধুরী (৫০)।ঢাকা থেকে কাশিসহ করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর দু’দিন আগে বাড়িতে আসেন তিনি।এবং ইউএনও নিজে সেই মৃতের সৎকারও করেছেন।এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় খবরও প্রকাশিত হয়।পরে মৃত বিশ্বজিত রায় চৌধুরীর নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে পজিটিভ এসেছে।বিশ্বজিত রায় চৌধুরী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরি করতেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা তৎসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ঘোষণা ছাড়া কীভাবে নড়াইল জেলা করোনামুক্ত হলো। হাস্যকর এ বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকেও সমালোচনার ঝড় উঠে।বিভিন্ন পেশার মানুষ দায়িত্বহীন এ সংবাদ প্রচারের জন্য নানা মন্তব্যও করেন। আর সিভিল সার্জন ডাক্তার আব্দুল মোমেনের অপসারণ দাবি করেন তারা।
দুঃখজনক হলেও না বলে পারছি না। একটা মানুষ জীবিত অবস্থায় করোনা পরীক্ষা করাতে পারছে না। যদি পুর্বেই করোনা পরীক্ষা করা যায় তাহলে আক্রান্ত মানুষগুলি সুস্থ হবার আশাটা সুযোগটা অনেকাংশে থাকে। কিন্তু একটি মানুষ মরে যাবার পর তার পরীক্ষা করে কোন লাভ আছে বলে আমার মনে হয় না। কারন মরা মানুষের রক্তের কোষগুলি নির্জীব হয়ে যায় তাই সেই পরীক্ষাটা কতখানি বিঙ্ান সম্মত সেটা আমি বলতে পারবো না। আমি স্বাস্থ বিভাগের সকলের প্রতি আবেদন জানাবো যেন মৃত মানুষের উপর করোনা পরীক্ষা না করা। আপনি জীবিত মানুষের উপর করোনা পরীক্ষা করুন এবং প্রতিটি মানুষের স্বাভাবিক চিকিৎসা গ্রহনের সুযোগটুকু নেবার পরিবেশ তৈরি করে দিন। যাতে কোন মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়।
ReplyDelete