কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১|| খুলনার খবর২৪

খুলনার খবর২৪||কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে বিল্লাল হোসেন (৪৮) নামের একজন নিহত হয়েছে। নিহত বিল্লাল সান্দিয়ারা গ্রামের মৃত মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে। এ সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ৪০জন আহত হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমন ও ডাঁসা গ্রামের দুলাল শেখের ছেলে মামুনের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ কোন্দল চলে আসছিল। কয়েকদিন আগে সান্দিয়ারা বাজারে মামুনের এক সমর্থক মটর সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় তার গাড়ির আলো সুমন সমর্থকের চোখে পড়লে তিনি তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে বাজারে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনা নিয়ে উভয় পক্ষ এলাকায় মহড়া দিতে থাকে।তারই জের ধরে গতকাল সোমবার (৬জুলাই) সকালে সান্দিয়ারা বাজারে দু’ পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়। সকাল ১১টার দিকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষের লোকজন। এ সময় ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে দুইপক্ষ। এছাড়া ঢাল, ফলা, হাসুয়া, রামদা নিয়ে একে অন্যের বিরুদ্ধে হামলা চালায়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে এলাকার লোকজন পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ শুরু করে।প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে  ৪০জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৬ পুলিশ সদস্য মারাত্মক জখম হয়েছে। আর ঘটনাস্থলেই মারা যান বিল্লাল হোসেন।

এদিকে খবর পেয়ে বেলা ১২টার দিকে পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান ও আতিকুর রহমান আতিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ সময় পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত সাংবাদিকদের জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামিউর রহমান সুমন তার লোকজন নিয়ে মামুন সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশের ওপরও তাদের লোকজন হামলা চালায়। এতে আমাদের ৬ সদস্য আহত হয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১০জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একাধিক মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আর রাবার বুলেট বিল্লালের শরীরে লাগলেও তার মৃত্যু হয়েছে হার্ট অ্যাটাকে।

এদিকে পুলিশের ওপর হামলা ছাড়াও একাধিক ঘটনায় কুমারখালী থানায় আলাদা ৩টি মামলা রজু হবে বলে জানা গেছে। এদিকে ধড়পাকড় ও লুটপাটের ভয়ে এলাকার মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে।