মাগুরায় ভবনের সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন|| খুলনার খবর২৪
খুলনার খবর২৪||মাগুরায় ভবনের সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভায়ের লোহার পাইপের আঘাতে ছোট ভাই খন্দকার রফিকুল হাসান ওরফে পিন্টু খন্দকার (৪৫) নিহত হয়েছেন।গতকাল বুধবার (২২জুুুুলাই) বিকেলের দিকে শহরের কাউন্সিল পাড়ায় নিজেদের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলায় হামলায় আহত হয়ে তিনি মারা যান। তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছেন তাঁরই আপন বড় ভাই খন্দকার মঞ্জুরুল হাসান ওরফে রিন্টু খন্দকার।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,মাগুরার কাউন্সিল পাড়ার ম্যাটারনিটি হাসপাতাল রোডে পাশাপাশি দুটি ভবনের নির্মাণকাজ চলছিল। এর একটি খন্দকার মঞ্জুরুল হাসানের, আরেকটি খন্দকার রফিকুল হাসানের।গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার সেখানে একটি ভবনের কোনার একটি অংশ ভাঙা নিয়ে দুই ভায়ের বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই সময় নিহত খন্দকার রফিকুল হাসানের ভবনে কাজ করছিলেন কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক।তারা জানান, ছাদ ঢালাইয়ের জন্য খন্দকার মঞ্জুরুল হাসানের ভবনের কয়েক ইঞ্চি জায়গা ভাঙা পড়ে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষিপ্ত হন তিনি। এ সময় সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে এলে ছোট ভাই খন্দকার রফিকুল হাসানকে লোহার রড বাঁকানোর কাজে ব্যবহৃত মোটা পাইপ দিয়ে পেটে আঘাত করেন তাঁর বড় ভাই। এরপর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবদুর রহমান সেলিম জানান, ওই ব্যক্তিকে যখন হাসপাতালে আনা হয় তিনি জীবিত ছিলেন। জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সেখানে সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মাগুরা সার্কেল) কাজী আহসান হাবীব জানান, প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ওই ব্যক্তিকে আঘাত করতে ব্যবহৃত লোহার পাইপটি জব্দ করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক রয়েছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আর নিহতের পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে মামলার কার্যক্রম শুরু হবে।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.