সাতক্ষীরার আশাশুনিতে সড়কে বাঁশের সাঁকো|| খুলনার খবর২৪
ছবি সংগৃহীত |
এতদিন অতিবাহিত হলেও এখনও পর্যন্ত সড়ক ও জনপদ বিভাগ নির্মানাধীন জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কারের কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে ক্ষুব্ধ বানভাসী এলাকাবাসী। খুলনার কয়রা, শ্যামনগর ও কালীগঞ্জের এক অংশ এবং আশাশুনি উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের সাথে একমাত্র যোগাযোগর মাধ্যম হচ্ছে এই সড়ক।সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে দক্ষিণ অঞ্চলে দূর্গত মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, জরুরী ঔষধ পরিবহন ও সুপেয় পানি পৌছাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।
ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল জানান,আম্পানে আমার ইউনিয়নের হাজরাখালী ও প্রতাপনগরের কোলা-হিজলিয়া গ্রামের বাঁধ ভেঙ্গে খোলপেটুয়া নদীর পানি সবেগে এ সড়কটির উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ৭টি স্থানে ভেঙ্গে সেখান দিয়ে প্রতিদিন জোয়ার-ভাটা চলছে।আমার ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কলিমাখালী গ্রামের মাখন দর্জির বাড়ীর সামনে উক্ত সড়কের প্রায় ২০০ হাত, ওয়জুদ্দীন সরদারের বাড়ীর সামনে ৫০ হাত, ধনঞ্জয় মন্ডলের বাড়ী সংলগ্ন ২০ হাত, দীনবন্ধু স্বর্ণকারের বাড়ী সংলগ্ন ২৫ হাত, কালিপদ মন্ডলের বাড়ী সংলগ্ন ২৫ হাত ও ঘোলা গ্রামের আলিমের দোকান সংলগ্ন প্রায় ২৫ হাত রাস্ত ভেঙ্গে সেখান দিয়ে জোয়ার-ভাটা চলছে। সড়ক বিভাগ কোন উদ্যোগ না নেয়ায় স্থানীয় জনগন নিজস্ব উদ্যোগে প্রায় ২৭০ হাত বাঁশের সাঁকো নির্মান করে তার উপর দিয়ে চলাচল করছে।
এদিকে দুইমাস পার হতে চললেও হাজরাখালী বাঁধের উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি হচ্ছে না। তাই সড়কের ভাঙ্গা স্থান দিয়ে এভাবে জোয়ার-ভাটা চলতে থাকলে রাস্তাগুলো আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্লাবিত এলাকার দূর্গত মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, জরুরী ঔষধ পরিবহন ও সুপেয় পানি পৌছাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
অনতিবিলম্বে ভেঙ্গে যাওয়া হাজরাখালি বাঁধটি নির্মান করে এলাকায় জোয়ার-ভাটা বন্ধ করতে না পারলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়তেই থাকবে। শ্রীউলা ইউনিয়নের ভেঙ্গে যাওয়া হাজরাখালি বাঁধটি নির্মান করে এলাকায় জোয়ার-ভাটা বন্ধ করতে অবিলম্বে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বানভাসী মানুষ।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.