যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন শাহীন চাকলাদার|| খুলনার খবর২৪
খুলনার খবর২৪|| যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার। গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচনে কাস্ট ভোটের ৯৬ শতাংশ ভোট পান তিনি।
উৎসব মুখর, শান্তিপূর্ণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কঠোর স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনেই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এ আসনের মোট ২ লাখ ৩ হাজার ১৮ জন ভোটারের মধ্যে ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৭ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ।মোট ভোট কাস্ট হয়েছে ৬৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। যার মধ্যে বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৩শ’ ৭৪টি। নৌকা প্রতীক পেয়েছে ১লাখ ২৪ হাজার ৩ ভোট, ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছে ২ হাজার ১২ ভোট ও লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ১ হাজার ৬শ’ ৭৮ ভোট।
এই উপনির্বাচনে আসনটিতে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী যশোর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার ও লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জাতীয় পার্টি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব। নতুন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় মাঠে নামেননি ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হোসেন আজাদ।
ভোটগ্রহণ চলাকালে বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে,সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে মাস্ক পড়ে দুরুত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা।যশোর জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী যশোর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বলেছেন, সুষ্ঠুভাবে ও সুন্দর পরিবেশে স্বাস্থবিধি মেনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি তার নিজ উদ্যোগেও প্রতিটি কেন্দ্র স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী রাখা হয়েছিলো। তিনি জয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও কেশবপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানান।
লাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাবিবুর রহমান অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে তার পোলিং এজেন্টকে বসতে দেয়া হয়নি। ভোটারদের বের করে দেয়া হয়েছে।
যশোর জেলা প্রশাসক ও রির্টানিং কর্মকর্তা মো: তমিজুল ইসলাম খান জানান, ভোটগ্রহণ অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত ছিল। নির্বাচনী এলাকায় ২জন জুডিশিয়াল ও ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন। ছয় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন ছিল। এ ছাড়াও ১৮টি মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের ৬টি টিম নির্বাচনের মাঠে সার্বক্ষণিক কাজ করেছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার-ভিডিপি সদস্যদের নিয়োজিত রাখা হয়েছিল।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.