সুন্দরবনের বনজ সম্পদ রক্ষায় ও দস্যু দমনে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে বাগেরহাট জেলা পুলিশ|| খুলনার খবর২৪
খুলনার খবর২৪||এস,এম কামরুজ্জামান টুকু||সুন্দরবনের বনজ সম্পদ রক্ষায় ও দস্যু দমনে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে বাগেরহাট জেলা পুলিশ।
আজ শুক্রবার (৩জুুুুলাই) সকাল ১১টায় মোংলা বন্দরের ওয়াটার জেটির পশুরনদী সংলগ্ন এলাকা থেকে বাগেরহাট পুলিশ সুপারের তত্বাবধানে এ অভিযান শুরু করা হয়। মোংলা থানা পুলিশের ২০ সদস্যের একটি দল দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সুন্দরবনসহ উপকুলীয় এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করবে। মোংলা থেকে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন হিরোনপয়েন্ট পর্যন্ত তাদের এ টহল চলমান থাকবে।
জানা যায়, বিশ্ব ঐতিহ্য “ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড” হিসেবে স্বীকৃত এই বনের ছয় হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বাংলাদেশ অংশে রয়েছে বাঘ, বানর, চিত্রা ও মায়া হরিণ, বন বিড়াল, বিলুপ্তপ্রায় ইরাবতীসহ বিভিন্ন প্রজাতির ডলফিন, লোনা পানির কুমির, বন্য শুকর ও উদবিড়ালসহ ৩৭৫ প্রজাতির প্রাণী। যা এখন প্রায়ই বিলুপ্তির পথে।
বাগেরহাট পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় জানান, সুন্দরবনের মধ্যে চোরা শিকারীরা রয়েল বেঙ্গল টাইগার শিকার করে তার চামড়া, হাড় ও মাংশপেশী বেশীদামে বিক্রি করছে। এছাড়াও বিভিন্ন কারনে নোনা পানির কুমিরও মারা পড়ছে। প্রতিনিয়ত চোরাই ভাবে মায়া ও চিত্রা হরিন জাল ও ফাদঁ পেতে শিকার করছে। দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে সুন্দরবন থেকে এ মায়াবী হরিনের বিচরন। এক শ্রেনির হরিন শিকারীরা অসাধু কিছু স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় জেলে বেশে বনের গহীনে প্রবেশ করে। বনের মধ্যে অস্ত্র বা ফাঁদ পেতে অহরহ শিকার করছে হরিন।পরে লোকালয় এনে চড়া মুল্যে বিক্রি করা হয় এই হরিনের গোশত।তাছাড়া জেলে সেজে বনে প্রবেশ করে নদী ও খালে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করছে একধরনের অসাধু জেলে। সুন্দরবনের খালের মধ্যে বিষ প্রয়োগ করলে শুধু মাছ নয় এখানে যা কিছু থাকে সব কিছুই মরে যায়। আর এ বিষ যুক্ত মরা মাছ অন্য পশুপাখী খেলে সেগুলোও মারা যায়। ফলে বনের পরিবেশ নষ্টসহ অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে।তাই এ বনের বিপুল পরিমাণ গাছপালা ও পশুপাখি রক্ষার জন্য বিশেষ করে সরকারের নির্দেশনা মতে চলতি দুই মাস মৎস্য সম্পদের পাশাপাশী নানা অপরাধ মুলক কর্মকান্ডসহ বনের দস্যুদমন ও বনজ সম্পদ রক্ষায়ও এখন থেকে কাজ করবে পুলিশ। তাই এ অভিযান অব্যাহত থাকার ঘোষনা দেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মোংলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আসিফ ইকবাল, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইকবাল বাহার অন্যান্য কর্মকর্তারা।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.