Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    বাগেরহাটে লম্পট প্রদীপ দাসের লালসার শিকার তানিয়া মারা গেছে||খুলনার খবর২৪

    ছবি-সংগৃহিত 
    খুলনার খবর২৪||বাগেরহাটের চুলকাঠি এলাকার রনজিতপুর গ্রামের বাসিন্দা লম্পট প্রদীপ দাসের লালসার সিকার সেই ডায়াগনস্টিক নারী কর্মী ও কলেজ ছাত্রী তানিয়া আক্তার (২২) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ দিন মৃত্যর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যুবরন করেছে।

    মৃত তানিয়া   রামপাল উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের ইউছুফ আলীর কন্যা।

    নিহতের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৪ ই জানুয়ারী সন্ধ্যা ৬ টার সময় রামপাল উপজেলার ফয়লা বাজারের সুন্দরবন ডায়গনস্টিক সেন্টারের রিসিপশনিষ্ট তানিয়া(২২) নিখোঁজ হয়। তারপর অনেক খোঁজা খুজির পরও তানিয়া আক্তারকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গত ১৫ ই জানুয়ারী প্রদীপ দাস একটি মোবাইল ফোন থেকে নিহত তানিয়ার বাবা ইউছুফ আলীকে ফোন করে জানান যে মেয়েকে রূপসা সেতুর উপর ফেলে রেখেছে। সেই খবরের ভিত্তিতে নিহতের পরিবার অচেতন অবস্থায় তানিয়াকে উদ্ধার করে খুলনার একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে গত ১৬ জানুয়ারী উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেকে ভর্তি করেন।এবং ঐ দিনই (১৬ জানুয়ারী) ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে রামপাল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে প্রদীপ দাসের বিরুদ্ধে ১টি মামলাও দায়ের করেন, যার নং-০৭।

    এলাকা সূত্রে জানা যায়,প্রদীপ দাস, চুলকাঠি এলাকার একজন চিহিৃত লম্পট ও প্রতারক। সে বিভিন্ন সময়ে নিজেকে গোয়েন্দা পুলিশ, সাংবাদিক, ডাক্তার, এনজিও কর্মি সহ নানা পরিচয় দিয়ে প্রতারনা করেই চলছিল। এমনকি একাধিক নারীকে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে তাদের নারীত্ব লুটে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।



    নিহতের পিতা ইউসুফ আলী বলেন, লম্পট প্রদীপ দুবছর আগে ফয়লা বাজার থেকে তার কন্যা তানিয়াকে অপহরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে অচেতন করার ওষুধ প্রযোগ করে তাকে যৌন নির্যাতন করেই চলছিল। তিনি লম্পট প্রতারক প্রদীপের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।

    এ ব্যাপারে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, থানায় মামলা হয়েছে, আমরা আসামী প্রদীপ দাসকে আটকের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad