দুপুরের পর বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরিণত হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল||খুলনার খবর২৪
খুলনার খবর২৪||আলহাজ্ব ইয়াকুব রাজা||দুপুর দুইটার পর থেকে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরিণত হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ভ্রাম্যমাণ এক্সেরে, ইসিজি, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালাল আর ওষুধের দোকানের প্রতিনিধিরা দাপিয়ে বেড়ায় হাসপাতালের (ইনডোর) আন্তঃবিভাগে।
গত বৃহঃপতিবার বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজের আন্তঃবিভাগগুলো ঘুরে এমন চিত্র মিলেছে। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন,সকালের দিকে হাসপাতাল নজরদারির মধ্যে থাকলেও দুপুর দুইটার পর সেটা দালালদের আখড়ায় পরিণত হয়।সার্জারি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায় অন্য চিত্র
পিপিবিএফ এবং এফবিএস পরীক্ষাসহ আরও কয়েকটি পরীক্ষা নিরীক্ষা বাইরে থেকে করিয়ে আনার জন্য তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে নাম্বার। নাম্বারে ফোন দিয়ে দেখা গেল বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নম্বর। কিছুক্ষণ পর মেডিসিন বিভাগে গিয়েও দেখা যায় টেস্টগুলো চলে যাচ্ছে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নির্ধারিত প্রতিনিধির কাছে।
অর্থোপেডিক্স সার্জারি ওয়ার্ডে দেখা যায় ভ্রাম্যমাণ এক্সেরে মেশিন। আর বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়,নির্ধারিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নির্ধারিত লোককে ব্লাডের স্যাম্পল দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে দুইজন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ এটিএম মোর্শেদ বলেন, হাসপাতালের প্রত্যেকটি বিষয় নজরদারিতে রাখার চেষ্টা করি। কোন অনিয়ম পেলে সাথে সাথে নিজে গিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়। প্যাথলজি বিভাগ এক বেলার পরিবর্তে দুই বেলা খোলা রেখেছি। তবে এখনও ফাঁকে ফাঁকে দালাল ঢোকে বলেও তিনি স্বীকার করেন। তবে দালালদের ধরে পুলিশে দেয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান তিনি। অন্যদিকে কোন অভিযোগ আসলে আমি এক মিনিটও দেরি না করে সাথে সাথেই তদন্তের পর ব্যবস্থা নিতে বলি।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.