সুন্দবনের মাদার নদী থেকে নৌ-চালকের মরদেহ উদ্ধার ||খুলনার খবর২৪
ছবি-সংগৃহিত |
স্থানীয়দের বরাত খবর পেয়ে শ্যামনগর থানা পুলিশ উপজেলার রমজান নগর ইউনিয়নের ভেটখালী এলাকার কোষ্টগার্ড অফিসের সম্মুখস্থ পল্টুনে আটকে থাকা অবস্থায় বনরক্ষীর পোশাক পরিধেয় মৃত নবাব আলীকে উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়া নবাব আলী পুর্ব কৈখালী গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম বনবিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কৈখালী ষ্টেশনে নৌ-যান চালকের কাজ করছিলেন।তার দুই স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান আছে পরিবারে।
নিহতের পরিবার জানান, রোববার রাত আটটার দিকে মুটোফোনে কথা হয়। পরবর্তীতে রাত নয়টার দিকে তিনি ষ্টেশন অফিস থেকে বাড়িতে ফিরে শুয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে রাত দশটার দিকে তার মুটোফোনে কল দিয়ে কেউ তাকে ডাকায় বাড়ির পাশের ষ্টেশনে যাওয়ার কথা বলে নবাব আলী বেরিয়ে যান। বেরিয়ে যাওয়ায় বনের মধ্যে টহলে যাওয়ার কথা ভেবে সারাদিন তারা নবাব আলীর খোঁজ খবর নেয়নি। কিন্তু বেলা দুইটার দিকে কৈখালী ষ্টেশন থেকে ডাকতে আসার পর তারা নবাব আলীকে খুঁজতে থাকেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে কোষ্টগার্ডের সিসি সাহেব ফোন দিয়ে ডাকার পর তিনি কয়েকজনকে নিয়ে পল্টুনে বেঁধে থাকা অবস্থায় উপুড় হয়ে ডুবে থাকা মৃতদেহ নবাব আলীর বলে নিশ্চিত হয়ে শ্যামনগর থানা পুলিশকে অবহিত করেন। শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাজমুল হুদা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পৌছে গেছেন। গুরুত্বের সাথে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে কৈখালী ষ্টেশন অফিসার কামরুল ইসলাম ষ্টেশনে না থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে নিহতের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান,বাড়ির পার্শবর্তী কালিন্দি নদীতে রাতে মাছ শিকারের সাথে জড়িত শওকাত, লিয়াকতসহ অনেকে জানিয়েছে যে রাত দুইটার দিকে তারা নবাব আলীকে উপকুল রক্ষা বাঁধের উপর নির্মিত সাইদ আলীর দোকানে বসে থাকতে দেখেছিলেন।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.