মাদ্রাসা সুপারের পিটুনির শিকার মিলন ঘুমের মধ্যে আৎকে ওঠে আতংকে||খুলনার খবর২৪
খুলনার খবর২৪||মাদ্রাসা সুপারের পিটুনীর সেই বিভীষিকার কথা মনে পড়তেই আৎকে উঠছে দাখিল পরীক্ষার্থী মো: মিলন হোসেন গাজী। গত তিনদিনেও স্বাভাবিক হতে পারেনি মিলনের মা রেহেনা আক্তার। তিনিও ছেলের পিঠে হাত বুলিয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে উঠছেন। গত শনিবার ডুমুরিয়া উপজেলার থুকড়া ওয়াজেদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল হান্নান, মিলনকে অফিস কক্ষের দরজা বন্ধ করে কাঁচা বাশের কুঞ্চি দিয়ে বেদম পিটুনি দেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে মিলনের বাড়ি রামকৃষ্ণপুর শান্তিনগর গুচ্ছগ্রামে গিয়ে মিলনের মায়ের সাথে আলাপকালে তিনি জানান তাদের বাড়ি কয়রা উপজেলায়। ২০০৯ সালে প্রলয়ঙ্কয়কারী ঘুর্নিঝড় আইলায় ভিটেমাটি হারিয়ে জীবীকার সন্ধানে ডুমুরিয়ায় আসেন। বিভিন্ন জায়গায় ছিন্নমূলবাসী হিসেবে কাটানোর পর ঠাই হয় ডুমুরিয়া উপজেলার ১২নং রংপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর গুচ্ছগ্রামে। তাদের ছেলে মিলনকে লেখাপড়া শেখানোর জন্য ভর্তি করেন থুকড়া ওয়াজেদিয়া দাখিল মাদ্রাসায়। সেখানে তাদের ছেলে মিলনকে তুচ্ছ কারণে মাদ্রাসা সুপার পাশের বাঁশ ঝাড় থেকে দপ্তরি আক্তার হোসেনকে দিয়ে কঞ্চি কেটে আনেন। সেই কঞ্চি দিয়ে অফিস কক্ষের দরজা বন্ধ করে এলোপাতাড়ি মারপিট করেন। মারপিট করার সময়ে দপ্তরী আক্তার হোসেন বাইরে পাহারায় ছিল। এক সময়ে মিলনের চিৎকারে পার্শ্ববর্তি লোকজন সেখানে গিয়ে মিলনকে উদ্ধার করে। তিনি জানান তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল হান্নান জানান, নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে মিলনসহ আরও কয়েকজন মারপিট করে। তাই মিলনকে শাসন করতে কঞ্চি দিয়ে কয়েকটি আঘাত করা হয়েছে। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি শেখ সরোয়ার হোসেন বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ি কোন শিশুকে মারপিট করা আইননত: দন্ডনীয় অপরাধ। মিলনকে যেভাবে মারপিট করা হয়েছে সেটি খুব অমানবিক।
ডুমুরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, থুকড়া মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষার্থী মিলনকে মারপিট করা হয়েছে এমন অভিযোগ কেউ করেনি।
আজ মঙ্গলবার সকালে মিলনের বাড়ি রামকৃষ্ণপুর শান্তিনগর গুচ্ছগ্রামে গিয়ে মিলনের মায়ের সাথে আলাপকালে তিনি জানান তাদের বাড়ি কয়রা উপজেলায়। ২০০৯ সালে প্রলয়ঙ্কয়কারী ঘুর্নিঝড় আইলায় ভিটেমাটি হারিয়ে জীবীকার সন্ধানে ডুমুরিয়ায় আসেন। বিভিন্ন জায়গায় ছিন্নমূলবাসী হিসেবে কাটানোর পর ঠাই হয় ডুমুরিয়া উপজেলার ১২নং রংপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর গুচ্ছগ্রামে। তাদের ছেলে মিলনকে লেখাপড়া শেখানোর জন্য ভর্তি করেন থুকড়া ওয়াজেদিয়া দাখিল মাদ্রাসায়। সেখানে তাদের ছেলে মিলনকে তুচ্ছ কারণে মাদ্রাসা সুপার পাশের বাঁশ ঝাড় থেকে দপ্তরি আক্তার হোসেনকে দিয়ে কঞ্চি কেটে আনেন। সেই কঞ্চি দিয়ে অফিস কক্ষের দরজা বন্ধ করে এলোপাতাড়ি মারপিট করেন। মারপিট করার সময়ে দপ্তরী আক্তার হোসেন বাইরে পাহারায় ছিল। এক সময়ে মিলনের চিৎকারে পার্শ্ববর্তি লোকজন সেখানে গিয়ে মিলনকে উদ্ধার করে। তিনি জানান তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল হান্নান জানান, নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে মিলনসহ আরও কয়েকজন মারপিট করে। তাই মিলনকে শাসন করতে কঞ্চি দিয়ে কয়েকটি আঘাত করা হয়েছে। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি শেখ সরোয়ার হোসেন বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ি কোন শিশুকে মারপিট করা আইননত: দন্ডনীয় অপরাধ। মিলনকে যেভাবে মারপিট করা হয়েছে সেটি খুব অমানবিক।
ডুমুরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, থুকড়া মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষার্থী মিলনকে মারপিট করা হয়েছে এমন অভিযোগ কেউ করেনি।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.