৮ লাখ টাকায় অবশেষে মুক্তি পেল শ্যামনগরের ৪ জেলে||খুলনার খবর২৪
ছবি-সংগৃহিত |
যানা যায়, তারা কোবাদক্ষ ষ্টেশন থেকে সাদা মাছের পারমিট নিয়ে গত ১৩ জানুয়ারী সুন্দরবনে যান। অপরদিকে কালিঞ্চি গ্রামের মিয়ারাজ ও রবিউল গত ৭ জানুয়ারী কৈখালী ষ্টেশন থেকে সাদা মাছের পারমিট নিয়ে তার সুন্দরবনে যান।
গত ১৬ জানুয়ারী পশ্চিম সুন্দরবনে রায়মঙ্গল নদীর কচুখালী খাল খেকে মুক্তিপণের দাবীতে জিয়া বাহিনী তাদের জিম্মি করে। মুক্তিপণের টাকা দিতে দেরি করায় জিম্মি অবস্থায় ব্যাপক শাররীক নির্যাতনের শিকার হয় চার জেলে। গত শনিবার দিবাগত রাতে নাপিতখালী জেলেরা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও কালিঞ্চি গ্রামের জেলেরা ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসে। গতকাল রোববার দুপুরে আহত জেলেরা শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।
মুক্তিপন দিয়ে ফিরে আসা জেলেরা জানান, জিম্মি অবস্থায় তাদের হাত পা বেঁধে গরানের লাঠি দিয়ে পায়ের তালুসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে নির্যাতন করে। তারা আরও জানায়, বনদস্যু জিয়া বাহিনীর লোকসংখ্যা ৮ জন।তারা জিম্মিদের মাথায় ভারতীয় গামছা বেঁধে প্রত্যেকের নিকটে একটি করে বন্দুক দিয়ে জিয়া বাহিনীর প্রধান জিয়া সহ এবং জিয়া বাদে পৃথক ২ টি ছবি উঠিয়ে রেখেছে। প্রতি জোয়ারে ১০ হাজার টাকা না দিলে এ ছবি র্যাবের কাছে হস্তান্তর করে তাদেরকে ডাকাত প্রমান করবে বলে বাহিনী প্রধান তাদের হুমকি দিয়েছে।
মুক্তিপন দিয়ে ফিরে আসা জেলেরা হলেন শ্যামনগর উপজেলার রমজান নগর ইউনিয়নের কালিঞ্চি গ্রামের আব্দুল্লাহ গাজীর ছেলে মিয়ারাজ হোসেন (৩৫) ও একই গ্রামের সাদেক গাজীর ছেলে রবিউল ইসলাম(২৫), গাবুরা নাপিতখালী গ্রামের মোমিন হাওলাদারের ছেলে কবির হোসেন (২৬)ও একই গ্রামের সিরাজুল হাওলাদারের ছেলে রিপন হাওলাদার (২৬)।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.