তালাক দেয়ায় স্ত্রীর অর্ধনগ্ন ছবি ফেসবুকে||পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা||খুলনার খবর২৪||
ছবি-সংগৃহিত |
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলার একটি গ্রামের এক মেয়েকে নানাভাবে ফুঁসলিয়ে অপহরণ করে ২০১৯ সালে বিয়ে করে রকি। সেই সময় ওই মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণের মামলার প্রস্তুতি নিলে আসামিরা প্রভাব বিস্তার করে। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সালিশ মিমাংসার মাধ্যমে নিশপত্তি হয় এবং তিনি সংসার করতে থাকেন। কিন্তু রকির স্বভাব চরিত্র ভালো না।এমন কি নিজ স্ত্রীকে অন্যের শয্যা সঙ্গী হওয়ার জন্যও চাপ দিতো।তিনি রাজি না হওয়ায় ভাই ও মায়ের ইন্ধনে তার (ওই মেয়ের) কয়েকটি আপত্তিকর অর্ধনগ্ন ছবি রকি তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে।
বিষয়টি ওই মেয়ে তার পরিবারের লোকজনকে জানালে মাস সাতেক আগে তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। মেয়েটি স্বেচ্ছায় রকিকে তালাক দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাবেক স্ত্রীর ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করতে থাকে। পরে ওই মেয়ের অন্য জায়গায় বিয়ে হয়। ফলে রকি ও তার পরিবারের লোকজন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েক সপ্তাহ আগে ওই মেয়ের আপত্তিকর অর্ধনগ্ন ছবি ভুয়া ফেসবুকে আইডি খুলে তা আপলোড করে।
আইডির নাম /শহিদুর রহমান/তোর জন্য/এবং দেবাশীষ দাস নামে তিনটি ফেক আইডি খুলে তা তার বর্তমান স্বামীর ফেসবুকে ট্যাগ করে ছবিগুলো গত ২১ জানুয়ারি পোস্ট করে। এতে ওই মেয়ে মানহানীকর পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।এবং
তিনি বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন এই ঘটনার জন্য দায়ী রকি ও তার পরিবার। এই কারণে তিনি গত ২২ জানুয়ারি বুধবার যশোরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেন। ওই পিটিশনটি আমলে নিয়ে বিচারক তা তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলে পুলিশ গত শুক্রবার রাতে তা নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড কমিউনিটি পুলিশিং) সুমন ভক্ত জানিয়েছেন, পর্নোগ্রাফি আইনে কোর্ট পিটিশন মামলা হয়েছে। তাই আসামিদের আটক করা যায়নি। খুব তাড়াতাড়ি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.