খুলনায় পাসপোর্ট করতে নতুন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ গ্রাহকরা ||খুলনার খবর২৪
তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, উর্ধ্বতন মহলের নির্দেশনা মোতাবেক এই নিয়ম চালু করা হয়েছে। আর ক্ষুব্ধ আবেদনকারীরা অভিযোগ করেন, বিষয়টি যদি সঠিকভাবে প্রচার করা হত তাহলে ভোগান্তি হত না। পাসপোর্ট অফিসে আসার পর বিষয়টি সবাই জানতে পারছে। এছাড়া জন্মনিবন্ধন অনলাইন হওয়া স্বত্ত্বেও এটা দিয়ে কেন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যাবে না, এ বিষয়টি নিয়েও তারা প্রশ্ন তুলেছে।
জানা যায়, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে সহকারী পরিচালক (পাসপোর্ট) মোঃ শাহাজাহান কবির গত (৮ ডিসেম্বর) এক অফিস আদেশ জারি করেন।যার স্মারক নং ৫৮.০১.০০০০.২০২.০৫.০০৪.১৯/২৪১৬। অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি দেশের অভ্যন্তরের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস/বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস সমূহে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) থাকা স্বত্বেও তা গোপন করে জন্ম নিবন্ধন প্রদর্শন পূর্বক পাসপোর্টের আবেদন করছেন। এতে নানাবিধ জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। এমতাবস্থায় আবেদনপত্র গ্রহণের ক্ষেত্রে ১৮ বছরের উর্ধ্বে আবেদনকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) গ্রহণ সাপেক্ষে আবেদন জমা করতে হবে। এছাড়া ১৫ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পিতা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জমা সাপেক্ষে আবেদন জমা করতে হবে। পাশাপাশি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের ভেরিফাইড কপি জমা নিতে হবে।
নগরীর নূরনগরস্থ খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে গিয়ে দেখা যায়, ১৮ বছরের উর্ধ্বে এমন অনেক আবেদনকারী পাসপোর্টের আবেদন ফরমের সাথে জন্মনিবন্ধনের কপি নিয়ে গেলে তাদের ফেরত দেওয়া হয়েছে। অথচ এর আগে জন্মনিবন্ধন দিয়েই গ্রাহকরা পাসপোর্ট করতেন। ভুক্তভোগীদের দাবি, বর্তমান সময়ে জন্মনিবন্ধন অনলাইন হয়ে গেছে। এছাড়া অনেকেই বিভিন্ন কারণে ভোটার হতে পারেনি। তাদের জন্য পাসপোর্ট করা এখন অসাধ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে ভোটার হওয়ার পরও জাতীয় পরিচয়পত্রের ভেরিফাইড কপি পেতেও দুই থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগে। এতে করে বিভিন্ন শ্রেণীর গ্রাহকদের নতুন করে ভোগান্তি শুরু হয়েছে।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.