Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    পাইকগাছায় চিংড়ি ঘেরের পানির ঢেউয়ের আঘাতে অধিকাংশ রাস্তার বেহাল অবস্থা ||খুলনার খবর২৪


    খুলনার খবর২৪||সিনিয়র রিপোর্টার ||খুলনার পাইকগাছার বিভিন্ন অঞ্চলে চিংড়ি ঘেরের পানির ঢেউয়ের আঘাতে অধিকাংশ রাস্তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে সংকীর্ন রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচলের পাশাপাশি গাড়ি চলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। মেরামতের কোন উদ্যোগ নেই।

    ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উপজেলার পাইকগাছা - বেতবুনিয়া সড়ক, পাইকগাছা থেকে খড়িয়া হয়ে গড়ইখালী সড়ক, লস্কর, সোলাদানা, গদাইপুর, চাঁদখালী, গড়ইখালী, লতা, দেলুটিসহ প্রত্যেকটি চিংড়ি চাষ অধ্যুষিত এলাকা। বিকল্প বাঁধ দিয়ে মাছ চাষে নিয়ম কানুন থাকলেও চিংড়ি চাষীরা বাঁধ না দিয়ে সরকারি রাস্তা ঘেরের বাঁধ হিসেবে ব্যবহার করছে। ইউনিয়ানের সাথে চলাচলের অধিকাংশ সকল রাস্তা ঘের সংশ্লিষ্ট বেঁড়িবাঁধ হওয়ায় এসব সড়কে যান চলাচল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

    ফলে অধিকাংশ জনপদের  রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে একাকার হয়ে যাওয়ার উপক্রম। সরকারি রাস্তা ঘেরের বেঁড়িবাঁধ হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করা না গেলে একসময় যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। প্রতি বছর সরকার জণসাধারণের যাতায়াতের সুবিধার জন্য সড়ক উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। প্রধান সড়কে বা চলাচলের রাস্তা থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে লীজ ঘের এর ফাঁড়ি বা বাঁধ থাকার নিয়ম থাকলেও কিছু ঘের মালিক এসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দেদারছে ঘের এ জোয়ারের পানি তুলে ব্যবসা করে যাচ্ছে। ফলে পানির ঢেউ এসকল রাস্তা ভেঙ্গে ইটের ছলিং উঠে কোথাও একাকার, কোথাও পিচের রাস্তায় ফাটল, কোথাও অর্ধেক হয়ে যাওয়ায় যাতয়াতের অনুপযোগী হয়ে গেছে। ফলে যানবাহন চলাচল করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। স্কূল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ সর্বসাধারণ সময় মত তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না।

    বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে লীজ ঘের এ জোয়ারের পানি তুললে এসব এলাকার মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকে না। সরেজমিনে দেখা যায়, উপকূল ও নদী বেষ্টিত হওয়ায় এলাকার মানুষ ওয়াপদার বেঁড়িবাঁধ চলাচলের রাস্তা হিসাবে অধিকাংশ ব্যবহার করে। এই বেঁড়িবাঁধ একদিকে নদীভাঙ্গণে বহিরাংশ হুমকির শিকার হয় অন্যদিকে লীজ ঘের এর কারণে ভিতরের অংশও ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। মানবধিকার কর্মী এ্যাড. এফএমএ রাজ্জাক বলেন, এর আগে একই বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে উপজেলার সমন্বয় কমিটির সভায় উত্থাপন করা হয়েছে। তারপরেও ঘের মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না কেন সাধারণের জিজ্ঞাসা? এলাকাবাসী এ ব্যাপারে স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad