খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবৈধ কফিন কারখানার সন্ধান||দুদকের অভিযান||খুলনার খবর২৪
খুলনার খবর২৪||আলহাজ্ব ইয়াকুব রাজা||খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশ ঘরের পাশেই অবৈধভাবে কফিন ব্যবসা করছে আউট সোর্সিং ক্লিনাররা।
দুদকের অভিযানে হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকের রুম থেকে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্যাড ও প্যাথলজি স্লিপ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া হাসপাতালের ইনডোরের বাইরেরও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের ডাক্তাররা পরীক্ষা করতে পাঠাতেন, তারও প্রমাণ পেয়েছে দুদক। দুদক খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাওন মিয়া জানান, হাসপাতালের অবৈধ কফিন কারখানার সন্ধান পেয়েছি। হাসপাতালের মর্গের পাশে অবৈধ কফিন কারখানা করেছে দু’টি ঘরে। তারা একটি ঘরে কফিন তৈরি করে, অন্যটিকে গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করছে।
মৃতের স্বজনেরা লাশ নিতে আসেন, তাদের কাছে জোর করে কফিন বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। কারখানাটি আউটসোর্সিংয়ের একজন সুইপার মোঃ জাহাঙ্গীরের নিয়ন্ত্রণে। যে সময়ে তার হাসপাতালের ক্লিনিং করার কথা, সেই সময় সে কফিন তৈরির কাজ করছে। এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালকের কাছে তাকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। বহিষ্কারের পাশাপাশি কারখানাটি বন্ধ করে দিবেন বলে জানিয়েছেন পরিচালক।
এ সময় হাসপাতালের অভ্যন্তরে ভ্রাম্যমাণ এক্স-রে, ইসিজি মেশিন নিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালাল ও ওষুধের দোকানের প্রতিনিধিদের সক্রিয় দেখা গেছে। অধিক টাকার বিনিময়ে বাইরের ক্লিনিক থেকে পরীক্ষা-নীরিক্ষায় আর্থিক ক্ষতি ও ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগীদের। হাসপাতালে দু’জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। বহির্বিভাগের ২১০ নম্বর এবং ২১২ নম্বর রুমে কর্তব্যরত দু’জন চিকিৎসকের রুম থেকে বেসরকারি একাধিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের প্যাড ও প্যাথলজি স্লিপ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানান অভিযান পরিচালনাকারী টিমের প্রধান।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.