খুলনা বিআরটিএ-তে কাগজ করার হিড়িক ||সব ধরনের যানবাহনের ফিটনেসের জন্য লম্বা লাইন ||খুলনার খবর২৪
খুলনার খবর২৪||আবিরপাখি||গত ১লা নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে নতুন সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮। এর ফলে সকল যানবাহনের মালিক-চালকদের লম্বা লাইন পড়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে।
এবার আগের চেয়েও শাস্তি ও জরিমানা বেশি হওয়ার দরুন এর থেকে রেহাই পেতে গাড়ির ডিজিটাল নম্বর প্লেট, ফিটনেস সনদ ও লাইসেন্স সংগ্রহ করতে ভিড় করছেন তারা। বাড়তি এই চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন বিআরটিএর কর্মকর্তারা।
বিআরটিএ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সড়ক পরিবহন নতুন আইন হওয়ার আগে এত লোকের সমাগম হতো না। কিন্তু নতুন আইনে শাস্তি বেশি হওয়ায় পরিবহন মালিক ও চালকের মধ্যে একধরনের ভয় কাজ করছে। এ কারণে সব ধরনের গাড়ির ডিজিটাল নম্বর প্লেট, ফিটনেস সনদ, লাইসেন্স সংগ্রহ ও আবেদন করতে বিআরটিএ-তে মানুষের ভিড় অনেকে বেড়েছে।আগের তুলনায় গত দুই দিন বিআরটিএ-তে চাপ অনেক বেড়েছে। নতুন আইনের শাস্তি ও জরিমানা থেকে রেহাই পেতে মালিক-চালক সবাই সব ধরনের কাগজ ঠিক করতে আসছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের কথা জানায়। তবে আগামী এক সপ্তাহ তারা মামলা ও জরিমানার ক্ষেত্রে শিথিলতা দেখাবেন বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম।
আজ (মঙ্গলবার) বিআরটিএতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সব ধরনের যানবাহনের মালিক ও চালকদের ব্যাপক ভিড়। ভেতরে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলে, বাস-ট্রাকের সারি সারি লাইন। বিআরটিএর প্রবেশমুখে মোটরসাইকেলের ডিজিটাল নম্বর প্লেটের বিতরণ চলছে। কয়েকশ মোটরসাইকেল চালক ডিজিটাল নম্বর প্লেটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। গাড়ির ফিটনেস সেন্টারে লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে প্রাইভেটকার, বাস, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান। ফিটনেস টেস্টে কাজ করছেন বিআরটিএর সহকারী ফিটনেস পরিদর্শকরা।
অন্যদিকে, লাইসেন্স শাখায় গ্রাহকদের ছবি তোলা ও ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়ার লাইনটিও ছিল অনেক বড়। এছাড়াও বিআরটিএর প্রায় সবকটি কক্ষের সামনে প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.