কুষ্টিয়ায় মা-ছেলে হত্যার আসামি গ্রেপ্তার ||খুলনার খবর২৪||
ছবি সংগৃহিত |
মাকে হত্যার বিষয়টি দেখে ফেলায় ছেলেকেও হত্যা করা হয়। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারকৃত যুবকসহ আরও কয়েকজন এ ঘটনায় জড়িত। তাদের সংখ্যা দশজনের অধিক নয় বলে জানায়।
গতকাল বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে তথ্য তুলে ধরেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোস্তাফিজুর রহমান ও এসএম আল-বেরুনী(ভেড়ামারা সার্কেল)।
গত সোমবার সকালে দৌলতপুর উপজেলার সোনাইকান্দি গ্রামের বাড়ির দুটি কক্ষ থেকে ছানোয়ারা খাতুন (৫০) ও তাঁর ছেলে রাজের (৮) মৃতবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারনা করে। এঘটনায় নিহত ছানোয়ারের মেয়ে পারভীন খাতুন বাদী হয়ে সোমবার রাতেই দৌলতপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। হত্যাকান্ডের একদিন পর গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দৌলতপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে লালচাঁদ মন্ডল (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। লালচাঁদ পেশায় রাজমিস্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিহত ছানোয়ারা খাতুন স্বামী পরিত্যক্তা। তার ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে একাই থাকতেন। এলাকায় তিনি সুদের ব্যবসা করতেন। এছাড়া তার সাথে বিভিন্ন সময়ে এলাকার ইভাটার শ্রমিকসহ বিভিন্ন মানুষের সম্পর্ক ছিল। এতে তার কিছু অর্থ সম্পদ হয়েছিল। রোববার দিবাগত রাতে লালচাঁদসহ আরও বেশ কয়েকজন বাড়ির সীমানা প্রাচীর পেরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর নগদ টাকাসহ অন্যান্য মালামাল চুরির উদ্দেশ্যে কৌশলে ঘরে প্রবেশ করে। এসময় ছানোয়ারা টের পেয়ে ঘরের আলো জ্বালায়। ঘরে ঢোকা কয়েকজনকে চিনে ফেলায় তারা ছানোয়ারাকে শ্বাসরোধে করে হত্যা করে। এরআগে ধস্তাধস্তিতে মায়ের গোঙ্গানি শুনে ছেলে রাজ ঘরে ছুটে যায়। রাজকেও একইভাবে হত্যা করে পাশের কক্ষে ফেলে রাখে। পরে চুরি করতে যাওয়া সবাই চলে যায়। কোন কিছু চুরি হয়েছিল কি না জানতে চাইলে লালচাঁদকে গ্রেপ্তারে নেতৃত্ব দেওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) এসএম আল-বেরুনী বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। তবে গ্রেপ্তারকৃত লালচাঁদ হত্যার মূল কারণ ও ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদের নাম পরিচয় দিয়েছে। তাদের অচিরেই ধরা হবে।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.