Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    কয়রায় স্বেচ্ছায় বাঁধ নির্মান করেছেন হাজারো মানুষ- খুলনার খবর

    মাসুম বিল্লাহ,কয়রা প্রতিনিধি|| ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ও ভরা পূর্ণিমায় জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় খুলনার কয়রা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিতে তলিয়ে গেছে অনেক গ্রামের।দূর্ভোগে পড়েছে হাজারো মানুষ।ঘূর্ণিঝড় পরবর্তি কাজ হিসাবে এখন বাঁধ মেরামতের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন হাজারো স্থানীয় বাসিন্দা।

    কয়রার ফুলতলা এলাকার প্রায় ৬০ ফুট ভাঙা বেড়িবাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে অস্থায়ীভাবে মেরামত করেছেন স্থানীয়রা। বাঁশ, মাটি, সিমেন্টের বস্তা দিয়ে কয়রা, শ্রীরামপুর,ফুলতলা, সহ কয়রা উপজেলার ১০ থেকে ১৫ গ্রামের প্রায় ২ হাজার মানুষ এ কাজে অংশ নিয়েছেন।গত বৃহস্পতিবার রাতে বাঁধ মেরামতের কাজে অংশ নেওয়া জন্য গ্রামবাসীকে আহ্বান করে মাইকিং করা হয়।সারাদিন ধরে এই মাইকিং চলে।

    ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ও ভরা পূর্ণিমায় জোয়ারে ভেসে গেছে শত শত মাছের ঘের। পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে গ্রামগুলোতে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কোটি কোটি টাকার। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে গ্রামবাসী বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

    ফুলতলা গ্রামের বাসিন্দা স্বেচ্ছাসেবক মাসুম হোসেন জানান, কয়রাবাসী এযাবত কাল সিডর, আইলা, আম্পানে ক্ষত বিক্ষত হয়েছে। বেড়িবাঁধগুলো এখনও ফিরে পায়নি হারানো অস্তিত্ব। এর মধ্যে আবারও ইয়াসের ধাক্বা। সামনে না জানি আবার কোন ঝড় এসে সব লন্ডভন্ড করে দেয় সেই আতংকে থাকি সব সময়।ঝড়ে খবর শুনলেই রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়।টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প গৃহীত না হওয়ায় বার বার আমরা নোনা পানিতে ডুবি।

    তিনি জানান,গতকাল শুক্রবার ভোর থেকে বাঁশ, মাটি,সিমেন্টের বস্তা যে যা পেরেছে তাই দিয়ে বাঘালী, মহারাজপুর, মঠবাড়ী, কয়রা, শ্রীরামপুর, অর্জুনপুর,ফুলতলা সহ কয়রা উপজেলার ১০ থেকে ১৫ গ্রামের প্রায় ২ হাজার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে প্রায় ৬০ ফুট বাঁধ মেরামত করছেন।

    উল্লেখ্য, ইয়াসের প্রভাবে প্রবল জোয়ারে বেড়িবাঁধ ভেঙে লবণ পানিতে ভাসছে কয়রা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের অর্ধশত গ্রাম।গত বুধবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার অতিমাত্রায় জোয়ারের পানিতে উপজেলার শাকবাড়ীয়া ও কপোতাক্ষ নদীর প্রায় ৩০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে লবণ পানি প্রবেশ করে। এ ছাড়া উত্তর বেদকাশির গাতীরঘেরি ও মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ী গ্রামের বেড়িবাঁধ ভেঙে ৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ায় বুধবারের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বেড়িবাঁধ ভেঙে যেতে থাকে।  

    বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার মধ্যে দক্ষিণ বেদকাশির আংটিহারা, মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া গ্রামের অর্ধ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নতুন করে ভেঙে যাওয়ায় কয়রা খুলনা সড়কের কালনা ও অন্তাবুনিয়া গ্রামে ৩ কিলোমিটার  সড়ক সম্পূর্ণ পানিতে তলিয়ে যায়। অনুরূপ উত্তর ও দক্ষিণ মঠবাড়ী গ্রামে ভাসমান মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় না পেয়ে বেড়িবাঁধে উঠেছেন। অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় হাজারো চিংড়ি ঘের, শতশত বাড়ি ঘর ভেসে গেছে।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad