Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    খুলনার সেই প্রতারক মনি'র জামিন না মঞ্জুর

    এস.এম.শামীম দিঘলিয়া, (খুলনা)// খুলনার সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ানকে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প জালিয়াতি করে ফাঁসানোর চেষ্টাকারী চক্রের হোতা গ্রেফতার প্রতারক সেই ফরিদা ইয়াসমিন মনি (৪২)’র জানিম না-মঞ্জুর করলেন আদালত। আজ রবিবার (২৮ নভেম্বর) খুলনার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ড. আতিকুস সামাদ এ আদেশ দিয়েছেন। আসামি মনি’র আইনজীবীর করা জামিন আদেন শুনানী শেষে বিচারক এ আদেশ দিয়েছেন। শুনানীকালে বাদি পক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ২৫ নভেম্বর খুলনার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাহীদুল ইসলাম আসামি মনিকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।


    প্রতারক মনি খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাধিন করিম নগর মসজিদ এলাকার মৃত আব্দুল ওহাব খাঁনের মেয়ে। সে বসুপাড়া কবরখানা এলাকার টাওয়ার ওয়ালা গলির শহিদুল ইসলামের বাড়ির ৫তলায় ভাড়া থাকেন। ২৪ নভেম্বর রাতে ওই বাড়ি থেকে মনিকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৬ সদস্যরা। এছাড়াও প্রতারক ফরিদা ইয়াসমিন মনি প্রতারণার জন্য দেবেনবাবু রোড এলাকা, ঢাকার রমনা থানাধীন মধুবাগ গলির বাড়ী নং ৪৫৯ (স্টার লজ), ঢাকার মুগদা থানার সবুজবাগ দক্ষিণ মান্ডা, চাঁন মিয়া গলির কাওসার আহম্মেদের ভাড়া বাসাসহ আরও একাধিক ঠিকানা ব্যবহার করেন।


    ওই মামলার বাকী ৪জন এজাহারভুক্ত আসামিসহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪জন পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই অলিয়ার রহমান।


    মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, তিনশত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প জালিয়াতি করে খুলনার সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ানের নামে একটি অঙ্গিকার নামা তৈরি করে এ প্রতারক চক্রটি। ওই অঙ্গিকারনামায় বলা হয়, ফরিদা ইয়াসমিন মনি নামের এক নারীর সন্তান উদ্ধারের কথা বলে সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ান ৩ লাখ ৭৭ হাজার টাকা নিয়েছেন। এ অঙ্গীকারনামাটি ব্যবহার করে ওই চক্রটি সোহাগ দেওয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও  মামলাসহ নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে।

    এরপর প্রাথমিকভাবে প্রমাণ মেলে তিনশত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তৈরি করা অঙ্গীকারনামাটি ২০১৮ সালের ৪ জানুয়ারি দেখানো হলেও সেটি আসলে ২০২০ সালে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ সরকারের নির্ধারিত দপ্তরে উক্ত স্ট্যাম্প তৈরির আড়াই বছর আগের তারিখ ব্যবহার করে আসামীরা সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ানকে ফাঁসানোর জন্য এই জাল জালিয়াতি করেছেন। সহকারি নিয়ন্ত্রক (স্ট্যাম্প) প্রধান কার্যালয় ও পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের ট্রেজারী শাখার লিখিত তথ্যমতে এ প্রাথমিক সত্যতা বেরিয়ে আসে।


    এঘটনায় গত ১৫ নভেম্বর খুলনার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ওই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করতে কেএমপি’র সদর থানাকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ হাতে পেয়ে খুলনা সদর থানায় প্রতারক চক্রের প্রধান ফরিদা ইয়াসমিন মনিসহ ৫জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করা হয়। দণ্ডবিধির ৪৬৭, ৪৬৮, ৩৮৫, ১০৯ ও ৫০৬ ধারায় গত ১৯ নভেম্বর মামলাটি রেকর্ড করে পুলিশ (নং-৩৪)।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad