বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ছাড়াই বছরের পর বছর চলছে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা হাসপাতালে আসেন চিকিৎসা নিতে। প্রয়োজন অনুসারে ভর্তি হন কেউ কেউ। প্রতিটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও এ হাসপাতালে আছেন কেবল একজন এ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ।
বিশেষজ্ঞ না হওয়ায় জটিল কোন রোগী আসলে তা সামাল দেওয়া বাকি ডাক্তারদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে বলে জানান চিকিৎসকেরা। অপরদিকে খুড়িয়ে খুড়িয়ে কোন রকম চলছে হাসপাতালের প্রসুতি বিভাগ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ হাসপাতালে প্রতিদিন দুর দুরান্ত থেকে প্রসুতি রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। কিন্তু কোন গাইনী কন্সালট্যান্ট না থাকায় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সপ্তাহে ১দিন সিজার করতে আসেন ডা. সঞ্চিতা অধিকারী।
এদিকে সিজারীয়ান রোগীরা সরকারী হাসপাতালে কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে বেসরকারী হাসপাতাল-ক্লিনিকে ভর্তি হতে বাধ্য হন। এই সুযোগে হাসপাতালে থাকা বিভিন্ন ক্লিনিকের দালাল চক্র রোগীদেরকে বুঝিয়ে শুনিয়ে নিজস্ব ক্লিনিকে ভর্তি করে নিয়ে চলে ব্যবসা।
এমতবস্থায় গরীব অসহায় রোগীদের পরিবারকে গুনতে হচ্ছে কাড়ি কাড়ি টাকা। যা বহন করা গরীব অসহায় রোগীদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। ক্লিনিকে সেবার নামে রমরমা বানিজ্য হওয়ায় হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে নামে বেনামে নিত্যনতুন চকচকে ক্লিনিক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী জানান, গত রবিবার আমার স্ত্রীকে সিজার করাতে সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিন্তু ডাক্তার না থাকায় প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজার করিয়েছি।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকার এব্যাপারে জানতে চাইলে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, মেডিসিন, সার্জারী, গাইনী, অর্থপেডিক্স, নাক কান গলা, চক্ষু, শিশু ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। কাঙ্খিতমানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের প্রয়োজন।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.