বি এন পির গণসমাবেশে এই সরকারের অধীনে আর কোনও নির্বাচন করবে না বিএনপি-মীর্জা আব্বাস
সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন নয়, হুদামার্কা ছাগল খোঁজা হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।আজ বুধবার (২২ ডিসেম্বর) যশোরের ঐতিহাসিক টাউন হল মাঠের রওশন আলী মঞ্চে জেলা বিএনপি আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধানঅতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আরও বলেন, তিন তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দুই কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় সাজা দেওয়া হলেও সেই টাকা কিন্তু সোনালী ব্যাংকে এখন ফুলে ফেঁপে ৮ কোটি টাকা হয়েছে। আসলে দেশনেত্রী আটকে রাখতেই এই সরকার অপকৌশল নিয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার মনে করে, তিনি (বেগম জিয়া) বাইরে থাকলে তাদের সমূহ বিপদ।
মীর্জা আব্বাস এই সরকারকে জুলুমবাজ আখ্যা দিয়ে বলেন, আমরা সভা-সমাবেশে এই সরকারকে খুন-গুম-লুণ্ঠনের সরকার বলেছি; আজ সারাবিশ্ব সেটি জেনেছে। এই সরকারের প্রধান সেনাপতি আব্দুল আজিজের দুই ভাই কুখ্যাত সন্ত্রাসী জোসেফ ও হারেজকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠালেও অসুস্থ একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সুচিকিৎসা নিতে বাধা দিচ্ছে। সারাবিশ্ব আজ এই সরকারের চিনে ফেলেছে; সেকারণে তাদের আর্মি অফিসার, পুলিশ অফিসার, র্যাব অফিসারসহ দলের শীর্ষ কয়েক নেতার ভিসা বাতিল করে দিয়েছে।
যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেঅতিথির বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায়চৌধুরী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্যে আইনগত কোনও বাধা নেই- আইনমন্ত্রী আমাদের এই কথা বললেও তারা সেই ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেননি।তিনি বলেন আওয়ামী লীগের কেউই মুক্তিযুদ্ধ করেননি; এমনকী ৩০ লাখ শহীদের মধ্যে তাদের কেউ নেই। কেননা যুদ্ধ শুরু হলে তারা সব পালিয়ে ভারতে চলে যায়। সেই সময় মেজর জিয়া শুধু স্বাধীনতার ঘোষণায় দেননি, সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ করেছে।
আজকের এই মহাসমাবেশ যাতে না হতে পারে, সেকারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পেটোয়া বাহিনি দিয়ে যশোরের সব যানবাহন এমনকী রিকশাও বন্ধ করে দিয়েছে। তার প্রশাসন শহরের সব মাইকের দোকান, ডেকোরেশনের দোকান গতকাল রাতেই বন্ধ করে দেয়। কিন্তু শহিদ জিয়ার সৈনিকরা, খালেদার জিয়ার সৈনিকরা- সেইসব বাধা উপেক্ষা করে ২০ থেকে ত্রিশ কিমি পথ পায়ে হেঁটে এই মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছে।তিনি যশোরকে বাধা অতিক্রম করার জেলা আখ্যা দিয়ে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের সোপান এখান থেকেই শুরু হলো।গণসমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিশেষ অতিথি আলহাজ মসিউর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনার ভেতরে কোনও মানবিকতা নেই। আপনি চাইছেন বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে সারাজীবন ক্ষমতায় থাকতে। কিন্তু আপনার সে আশা কোনোদিন পূরণ হবে না।আরো বলেন এই সরকার গত দশ বছরে যে টাকা পাচার করেছে, তা দিয়ে ১০টি পদ্মা ব্রিজ হয়ে যায়। সারাবিশ্ব আজ জেনে গেছে এই সরকার একটা ফ্যাসিস্ট সরকার।বিএনপির গণসমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বাবু জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, ধর্মবিষয়ক সহ-সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দফতর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, স্থানীয় বিএনপি নেতা মারুফুল ইসলাম মারুফ, মো. নূর উন নবী, সাবিরা নাজমুল মুন্নী, আবুল হোসেন আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার টিএস মোঃ আইয়ূব, নূরুল প্রমুখ
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.