যশোর শিক্ষা বোর্ডে পাশের রেকর্ড
এবার দুশ’ ৫৫ টি স্কুলের সবক’টি থেকে কমবেশি পাস করেছে। একজনও পাস করেনি এমন স্কুল একটিও নেই যশোর বোর্ডে।করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে কোনো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০২১ সালে মাত্র তিন বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষামন্ত্রণালয়। বাকি বিষয়গুলোতে জেএসসির ওপর নির্ভর করে ফলাফল নির্ধারণ করা হয়েছে।এ বছর জিপিএ ৪ থেকে ৫ পেয়েছে ৩৯ হাজার একশ’ নয়জন। জিপিএ ৩.৫ থেকে ৪ পেয়েছে ২৯ হাজার পাঁচশ’ ২৭ জন, জিপিএ ৩ থেকে ৩.৫ পেয়েছে ৩৪ হাজার পাঁচশ’ ৯৪ জন, জিপিএ ২ থেকে ৩ পেয়েছে ৪৪ হাজার ৭৯ জন এবং জিপিএ ১ থেকে ২ পেয়েছে দু’ হাজার ছয়শ’ ৬৯ জন। এবারের ফলাফলে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে।পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ফলাফলের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে সাতক্ষীরা জেলা। এই জেলায় পাসের হার ৯৪.৭৬। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে খুলনা। খুলনার পাসের হার ৯৪.৪৯। তৃতীয় অবস্থানে আছে বাগেরহাট। এছাড়া, চতুর্থ যশোর, পঞ্চম চুয়াডাঙ্গা, ষষ্ট নড়াইল, সপ্তম কুষ্টিয়া, অষ্টম মেহেরপুর, নবম ঝিনাইদহ এবং দশম স্থানে রয়েছে মাগুরা।
এ বছর পাসের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।পাসের হার বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন,‘ইংরেজি, গণিত ও আইসিটিতে পরীক্ষার্থীরা ফেল করে বেশি। এবার এই তিনটি বিষয়ের কোনো পরীক্ষা হয়নি। এ কারণে পাসের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে এই ফলাফল তৈরি করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত টেলিটকের মাধ্যকে উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে। পরিসংখ্যান প্রকাশের সময় শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক কেএম রব্বানী, উপবিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) ফজলুর রহমান, ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পিএ নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।এদিকে, চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে গড় পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় পাসের হার বেড়েছে ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ।
গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৯৩.১৫, দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৯৪.৮০ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৯৭.৫২ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৯০.১৯, রাজশাহী বোর্ডে ৯৪.৭১, কুমিল্লা বোর্ডে ৯৬.২৭, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৯১.১২ ও সিলেট বোর্ডের পাসের হার ৯৬.৭৮ এছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডে শতকরা ৯৩.২২ এবং কারিগরি বোর্ডে শতকরা ৮৮.৪৯ জন পাস করেছে। গত ১৪ নভেম্বর সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে ৩০ নভেম্বর শেষ হয়। মাত্র এক মাসের মধ্যেই এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হলো। এবার সারাদেশে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২২ লাখ ৪৩ হাজার ২শ’ ৫৪ জন। এরমধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ৩৬ হাজার ১শ’ ৮৮ জন এবং ছাত্রী ১২ লাখ ৭ হাজার ৬৬ জন রয়েছে।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.