যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ৪০ হাজার মানুষের সেতুর দাবি||খুলনার খবর২৪
ছবি-সংগৃহিত |
খুলনার খবর২৪||বিশেষ প্রতিনিধি ||যশোরের মণিরামপুর উপজেলার প্রায় ৪০ হাজার মানুষের একটি সেতুর দাবি আজও পূর্ণ হয়নি। ফলে ঝুঁকি নিয়ে মুক্তেশ্বরী নদীর ওপর তৈরি বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
উপজেলার , গাবুখালি, নাউলী, সুবলকাঠি, প্রতাপকাটির মানুষের একমাত্র ভরসা এই বাঁশের সাঁকো। এতে সবচেয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় স্কুলগামী শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের।জানা গেছে, উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নে নাউলী, গাবুখালি, প্রতাপকাটি, সুবলকাঠি, কাটাখালী গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বসবাস করে । এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে বাশ দিয়ে সাঁকোটি নির্মাণ করে। একটি ব্রিজের অভাবে গ্রামবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছেন। সাকোঁ দিয়ে পাঁচ গ্রামের মানুষ ঢাকুরিয়া বাজার, উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। এছাড়াও গ্রামের স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা বাঁশের ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছে।জরুরি হাসপাতালে প্রেরনেও নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়।পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরাও বিপদে তাদের পাশে দাড়াতে পারেনা।ক্ষেতের ফসল হাটে, বাজারে বিক্রি করতে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। ফলে শ্রমের পাশাপাশি পরিবহন ব্যয়ও বেড়ে যায়। গ্রামের ছেলে মেয়েরা পাশের গ্রামে অবস্থিত বিদ্যালয়ে যেতে হলে এই সাকোঁর বিকল্প থাকে না।গর্ভবতী মহিলাদেরকে জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে এই সাকোঁর উপড় দিয়ে হাসপাতালে আসা যাওয়া করতে হয়।
এখানে একটি সেতু নির্মিত হলে শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে।পাশাপাশি এই উপজেলার পাঁচটি গ্রামের লোকজন অনেক উপকৃত হবে।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.