নড়াইলে গৃহবধুকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ||নিহতের শশুরের স্বাক্ষ্য প্রদান||খুলনার খবর২৪
খুলনার খবর২৪||নড়াইলে আশা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন শ্বশুর।
গতকাল রোববার দুপুরে নড়াইল প্রেসক্লাবে ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৫) ও স্ত্রী হনুফা বেগমকে পুত্রবধু হত্যার জন্য দায়ী করেন নিহতের শশুর আব্দুল গাফফার।ছেলে ও স্ত্রীর বিচার দাবি করে নিহতের শ্বশুর আব্দুল গাফফার বলেন, 'আমার স্ত্রী হনুফা এবং নেশাগ্রস্থ ছেলে রফিকুল বৌমাকে (আশা খাতুন) তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলত। না আনলে প্রায় শারীরিকভাবে নির্যাতন করত। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকেও মারত। ঘটনার দিন আমার ছেলে রফিকুল বৌমাকে বেদম প্রহার করে। পরে (আশা) নিস্তেজ হয়ে গেলে ওড়না পেচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে।’
নিহতের পরিবারের অভেযোগ, প্রায় এক বছর আগে নড়াইল পৌরসভার দূর্গাপুর এলাকার রফিফুলের সঙ্গে বিয়ে হয় সদরের মাইজপাড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের আশা খাতুনের। বিয়ের পর থেকেই মাদকাসক্ত রফিকুল স্ত্রী আশাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। বিভিন্ন সময়ে রফিকুল ও তার মা টাকার জন্য আশা খাতুনের বাবার বাড়িতে চাপ দিতেন।
এরই জের ধরে গত শুক্রবার ভোরে রফিকুল ও তার মা হনুফা আশাকে শারীরিকভাবে অত্যাচারের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে বিষয়টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা চালায় তারা।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন জানান, এ ঘটনায় রফিকুল ও তার মায়ের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচণায় মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে এটা হত্যা না আত্মহত্যা তা বোঝা যাবে।
গত শুক্রবার ভোরে নড়াইল শহরের দূর্গাপুর এলাকায় ওই গৃহবধূকে শারীরিক নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. নুর ইসলাম গত শনিবার বাদী হয়ে নড়াইল সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিহতের স্বামী রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.