Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    রপ্তানি বন্ধের পথে পাইকগাছার কাঁকড়া-কুঁচিয়া||খুলনার খবর২৪


    খুলনার খবর২৪||আলহাজ্ব ইয়াকুব রাজা||চীনের করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে প্রায় সকল রপ্তানিমুলক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। গত বেশ কিছুদিন রপ্তানি বন্ধ থাকায় মারা যাচ্ছে মজুদকৃত কাঁকড়া ও কুঁচিয়া।

    বর্তমানে কাঁকড়া ও কুঁচিয়া নিয়ে মহা বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় ক্ষুদ্র ও সরবরাহকারী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন মৎস্য দপ্তর। কাঁকড়া রপ্তানির বিকল্প বাজার খুঁজতে হবে তবে চীন অতি সম্প্রতি আশ্বস্ত করায় পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তারা।

    সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকা কয়রা, পাইকগাছা অত্র এলাকার চিংড়ি, কাঁকড়া ও কুঁচিয়া উৎপাদনের জন্য অত্যান্ত সমৃদ্ধ। এখানকার উৎপাদিত কাঁকড়া সুস্বাদু হওয়ায় বিদেশে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। অত্র উপজেলায় ২শ হেক্টরে শুধুমাত্র কাঁকড়া এবং ১৭ হাজার হেক্টর মিশ্র ঘের থেকে কাঁকড়া উৎপাদন হয়ে থাকে। অনুরূপভাবে এসব উৎস থেকে কুচিয়াও উৎপাদন হয়।গত বছর ৪ হাজার ১শ মেট্রিক টন কাঁকড়া ও ৩শ মেট্রিক টন কুচিয়া উৎপাদন হয়। উৎপাদিত কাঁকড়া ও কুচিয়া চীন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে।যার মধ্যে ৯০ ভাগই কাঁকড়া শুধুমাত্র চীনেই রপ্তানি হয়।গত মাস খানেক আগে চীনে করোনা ভাইরাস দেখা দেওয়ায় গত (২৫ জানুয়ারী) থেকে বাংলাদেশ থেকে চীনে কাঁকড়া ও কুচিয়া রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিপাকে পড়েন অত্র এলাকার সরবরাহকারী, ব্যবসায়ী, খুচরা বিক্রেতা ও উৎপাদনকারী চাষীরা।

    অনেকেই ব্যাংক, এনজিও,ও বিভিন্ন প্রতিস্ঠান থেক ঋণ নিয়ে ব্যবসা করায় আর্থিক এ সব প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের জন্য প্রতিনিয়ত চাঁপ দিচ্ছেন। অনেকেই আবার ফঁড়িয়াদের নিকট দিয়েছেন মোটা অংকের টাকা দাদন। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এ খাতে কোটি কোটি টাকার লোকসান ও ক্ষতির আশংকা করছেন এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও সরবরাহকারী ব্যক্তিরা। কাঁকড়া ও কুচিয়ার জন্য এই মৌসুমটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সারাবছর যে ব্যবসা হয় তার চেয়েও অনেক বেশি ব্যবসা হয় এই মৌসুমে। কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জানান, সদর সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ৫শ ডিপো রয়েছে।ভাইরাসের কারণে চীনে রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ ডিপোই বন্ধ হয়ে গেছে।


    তবে আশা করা যাচ্ছে দ্রুত আবারও রপ্তানি শুরু হবে এবং পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad