Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের কম্পিউটার অপারেটর জনির গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    খুলনার খবর||ধান ভাগ বাটোয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে মহিলাসহ ৬ জনকে কুপিয়ে জখমকারী সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের কম্পিউটার অপারেটর জনির দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

    গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন আশাশুনি উপজেলার দাদপুর গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ সরদারের পুত্র নূর আহম্মদ।

    লিখিত অভিযোগ তিনি বলেন, ফারাজী সম্পত্তি নিয়ে মৃত ছহিলউদ্দীন সরদারের পুত্র দাউদ গংয়ের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। গত বৃহঃপতিবার (১৫ এপ্রিল) তারিখে মৃত সাঈদ সরদারের পুত্র সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের কম্পিউটার অপারেটর মোশাররফ হোসেন জনি সরদার আমাকে মোবাইল ফোনে বলে তোমরা জমিতে এসে ধান ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে যাও।

    আমি তার কথায় বিশ্বাস করে মৃত শহর আলী সরদারের পুত্র আ: বারী, মৃত কেয়ামুদ্দীনের পুত্র হাফিজুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, মিয়ারাজ আলীর স্ত্রী মোসলেমা খাতুন, সাইফুল ইসলামের পুত্র রিপু ইসলাম, স্ত্রী বিথি খাতুন, আব্দুল বারীর পুত্র সুমন সরদার গংদের সাথে নিয়ে উক্ত জমিতে যাওয়ার সাথে সাথে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক ধারালো অস্ত্র নিয়ে উৎপেতে থাকা জনির নেতৃত্বে আবু দাউদের পুত্র সোহাগ হোসেন, ,মৃত ইনছার দাইয়ের পুত্র বাবলুর রহমান, মাহবুবুর রহমান সরদারের পুত্র মোতাহার হোসেন মিলন, মৃত.ছহিলুদ্দীন সরদারের পুত্র সিরাজুল ইসলাম সরদার, নজরুল ইসলামের পুত্র রায়হান আলী, বাবু সরদার, মৃত মোফাজ্জেল সরদারের পুত্র মাহবুবর রহমান, মৃত ছহিল উদ্দীন সরদারের পুত্র মোস্তাজুল ইসলাম, আবু দাউদ, নজরুল ইসলাম, মোস্তাজুল ইসলামের পুত্র সাগর ও তালা উপজেলার বালিয়া গ্রামের রশিদ সরদার আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আমাদের মারাত্মক জখম করে। এছাড়া মোসলেমা খাতুন ও বিথি খাতুন পরনের কাপড় চোপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানি ঘটনায়। আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

    কিন্তু আহতদের মধ্যে সাইফুল ইসলামের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তার অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি। এঘটনায় আমার পিতা বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় একটি এজাহার দায়ের করে। যার নং- ১২, তাং ১৭/৪/২০২১। মামলা দায়েরের খবরে উল্লেখিত মোশাররফ হোসেন জনি সরদার ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। বর্তমানে পালিয়ে থাকলেও বিভিন্ন মাধ্যমে মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। এছাড়া মামলার কারণে পালিয়ে থাকলেও সদর হাসপাতালে নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছেন। গোপনে অফিস করে যাচ্ছেন।

    তিনি ওই জনি সরদারসহ ওই নগ্ন হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad