দিঘলিয়ায় যুবলীগ নেতা আটক || খুলনার খবর
জহিরুল রাতুল,(স্টাফ রিপোর্টার)||দিঘলিয়ার উপজেলার সেনহাটীতে যুবলীগ নেতার বাড়িতে পেট্রোল বোমা হামলা এবং হামলা পরবর্তী ঘটনাকে কেন্দ্র করে শান্ত নামক এক যুবককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার দায়ে পুলিশ হেফাজতে থাকা যুবলীগ নেতা সজলকে আটক দেখিয়েছি দিঘলিয়া থানা পুলিশ।
অন্যদিকে যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সজল এর বাড়িতে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় সজলের বড় ভাই ইব্রাহিম খলিল ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৪/৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে থানায় একটি অভিযোগ দিলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়নি।
দিঘলিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) রিপন সরকার জানান, শান্ত কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগে শান্তর মা মনোয়ারা বেগম যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সজল কে প্রধান আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে সজল সহ আরো ৫ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন আসামী করা হয়। মামলা নং ৬। তাং ২২/০৪/২০২১। উক্ত মামলার এজাহারের ভিত্তিতে ইসমাইল হোসেন সজলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
অন্যদিকে ইব্রাহীম খলিলের অভিযোগের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে ওসি তদন্ত জানান, যেহেতু পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনাটি সন্দেহাতীত সেহেতু মামলা নেওয়ার আগে ঘটনাটি অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।
উল্লেখ্য,গত ২১ এপ্রিল রাত আনুমানিক দুইটার সময় সেনহাটি আদর্শ পল্লী (রেজার মোড়) সজলের বড় ভাই ইব্রাহিম খলিলের বসত ঘরের সকল জানালা-দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে কে বা কারা ঘরের ভিতর এবং বাহিরে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার আঘাতে ঘরের ভিতর আগুন লেগে যায় এ সময় ঘরের পার্শ্ববর্তী গ্যারেজে থাকা একটি মোটরসাইকেল আংশিক পুড়ে যায়। ঘটনার পরদিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খুলনা ‘ক’ সার্কেল রাজু আহন্মেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এদিকে গত ১৫ এপ্রিল দিঘলিয়া উপজেলার উত্তর চন্দনীমহল (বোগদিয়া) গ্রামে বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৭ এপ্রিল মোঃ আশরাফ মোল্লার দায়ের করা মামলায় সেনহাটী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া গাজীর ছোট ভাই মুসা গাজী (২৭) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২২ এপ্রিল রাতে চন্দনীমহল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ইসমাইল হোসেন সজল এবং মুসা গাজীকে আজ (২৩ এপ্রিল) শুক্রবার কোর্টে চালান দিয়েছে দিঘলিয়া থানা পুলিশ।
No comments
please do not enter any spam link in the comment box.