Header Ads

  • শিরোনাম সর্বশেষ

    পাইকগাছার উপকূলীয় এলাকায় তরমুজের বাম্পার ফলন || খুলনার খবর

    খুলনার খবর||পাইকগাছায় উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর এ উপজেলায় ১১শ’ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলেও তরমুজের ফলনের কোন সমস্যা হয়নি। 

    কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, তরমুজ পুষ্টিগুণে ভরা একটি ফল। এর প্রায় ৯৬ শতাংশ পানি। তরমুজ প্রচন্ড গরমে পানির চাহিদা পূরণ ও শরীর ঠান্ডা রাখে, উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, হৃদপিন্ড ভালো রাখে, মানব দেহের হৃদরোগ,হাপানী, মস্তিকের রক্তক্ষরণসহ নানাবিধ প্রতিরোধে কাজ করে। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। সুষ্ঠু রক্ত সঞ্চালন, মুখের ঘা, সর্দি, ঠান্ডা জ্বর প্রতিরোধ করে, কিডনি ভালো রাখে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হাড়ের জোড়া মজবুতসহ চোখের সমস্যা দূর করে। ঔষধী গুণের পাশাপাশি তরমুজ একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় উপজেলার দুটি ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে তরমুজের আবাদ হয়ে আসছে। 

    উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে, গত বছরের চেয়ে এবছর ১১শ’ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে দেলুটি ইউনিয়নে এক হাজার হেক্টর ও গড়ইখালী ইউনিয়নে ১শ’ হেক্টর।

    গড়ইখালী উপজেলার দুজন তরমুজ চাষী জানান, দুজনে সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছে। এ জমিতে চাষ করতে ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি ৩লক্ষ টাকা বেচা কেনা হবে। তারা আরো বলেন আমরা এক বিঘা জমিতে পানি, সার কিটনাশক ছাড়াই চাষ করেছি। দেখা গেছে পানি কিটনাশক ছাড়া চাষে প্রতি বিঘা জমিতে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। 

    দেলুটি উপজেলার আসলাম সরকার জানান এ বছর আমি ৩ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করেছি। বর্তমানে ফসলের অবস্থা খুবই ভালো। এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।তিনি আশা করছেন বিঘা প্রতি ৩৫-৪৫ হাজার টাকা লাভ  করতে পারবেন।

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, তরমুজ একটি লাভজনক ফসল। ফেব্রয়ারির মাঝামাঝি থেকে চাষ শুরু করা হয় এবং এপ্রিলের শেষের দিকে বাজারজাত করা যায়। তরমুজ চাষে এক বিঘা জমিতে ১৫/১৮ হাজার টাকা খরচ হয়। খুব বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। সার-পানি দিলেই হয়। এক বিঘা জমির উৎপাদিত তরমুজ ১লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।

    No comments

    please do not enter any spam link in the comment box.

    click here



    Post Bottom Ad